হাওড়া জেলার মোট অ্যাফেক্টেড বা 'এ' কনটেনমেন্ট জোনের প্রায় ৫২ শতাংশই রয়েছে দুটি থানা এলাকায়। তা থেকেই স্পষ্ট, ওই দুটি থানা এলাকায় আশঙ্কার মাত্রা সবথেকে বেশি।পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সাম্প্রতিক আপডেট অনুযায়ী, রাজ্যে সর্বাধিক 'এ' কনটেনমেন্ট জোন বা সবথেকে প্রভাবিত সংক্রামক এলাকার নিরিখে তৃতীয় স্থানে আছে হাওড়া। সংখ্যাটা ৭৬। সামনে রয়েছে শুধুমাত্র কলকাতা এবং উত্তর ২৪ পরগনা।হাওড়া জেলার পরিসংখ্যান অনুযায়ী, হাওড়া এবং শিবপুর থানা এলাকার অবস্থা সবথেকে শোচনীয়। ওই দুই এলাকায় ৩৯ টি 'এ' কনটেনমেন্ট জোন রয়েছে। তার মধ্যে হাওড়ায় রয়েছে ২৪ টি এবং বাকি ১৫ টি শিবপুর থানার আওতায় পড়ছে। তাছাড়া গোলাবাড়ি থানা এলাকার আটটি জায়গাকে 'এ' কনটেনমেন্ট জোনে রাখা হয়েছে। বাকি জেলার মধ্য়ে এজেসি বোস বি গার্ডেন এবং মালিগাছপাড়া থানার আওতায় রয়েছে যথাক্রম পাঁচটি এবং চারটি সবথেকে প্রভাবিত সংক্রামক এলাকা। ব্যাঁটরা এবং লিলুয়া থানার তিনটি করে জায়গাকে 'এ' কনটেনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এছাড়া দাশনগর, বালি, উলুবেড়িয়া, শ্যামপুকুর, জগৎবল্লভপুর, বালি-জগাছা, ডোমজুড়ে একটি করে অ্যাফেক্টেড জোন আছে। বাকি দুটি সর্বাধিক প্রভাবিত এলাকা সাঁকরাইল থানার আওতায় পড়ছে।রাজ্য সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী, আগামী ১৫ জুন পর্যন্ত ওই এলাকাগুলিতে লকডাউনে কোনওরকম বিধিনিষেধ শিথিল হবে না। শুধু অত্যাবশ্যকীয় গতিবিধি বা কাজে ছাড় মিলবে।