চোপড়া 🍸কাণ্ডের পর এবার সালিশি সভার ঘটনা ঘটল পূর্ব বর্ধমানে। মারধর করার অভিযোগ উঠল প্রৌঢ় দম্পতিকে। তবে এবার মারধর সালিশি সভাতে নয়, সেখানে না যাওয়ার জন্য প্রহার করা হয়েছে প্রৌঢ় দম্পতিকে। এই ঘটনায় বিচার 🦩চেয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখলেন ওই প্রৌঢ় দম্পতি। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানা এলাকা কুবাজপুর গ্রামে। এক্ষেত্রেও তৃণমূলের এক নেতার বিরুদ্ধে দম্পতিকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে।
আরও পড়ুন: সꦇালিশি সভায় পরকীয়ার অভিযোগে মারধরের পর আত্মঘাতী মহিলা, শি🅺লিগুড়িতে গ্রেফতার ২
স্থানীয় এবং পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জামালপুর ব্লকের চকদিঘি পঞ্চায়েত এলাকার প্রত্যন্ত গ্রাম হল কুবাজপুর। প্রৌঢ় দম্পতি শেখ বোরহান আলি এবং সাহানারা বিবি হলেন ওই গ্রামের বাসিন্দা। তাঁদের বড় ছেলে বসির আলিও একসঙ্গে থাকেন। তিনি কৃষিকাজ করেই জীবিকা নির্বাহ করেন। তবে বসিরের বিবাহ নিয়ে কিছু সমস্যা চলছিল। তা নিয়ে আদালতে মামলাও চলছে। বিষয়টি বিচারাধীন মামলা রয়েছে। তা সত্ত্বেও এনিয়ে বিচার করতে সালিশি সভা ডেকেছিলেন এলাকার তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি শেখ আজাদ রহমান।🍌
পরিবারের দাবি, চকদিঘির তৃণমূল পার্টি অফিসে ওই সালিশি সভার আয়োজন করা হয়েছিল। তাদের সেখানে ডাকা হয়েছিল। কিন্তু, ওই দম্পতি ও তাঁদের পুত্র বসির সালিশি সভায় উপস্থিত থাকেননি। এরপরেই তৃণমূল নেতা ও তাঁর দলবল দম্পতির বাড়িতে গিয়ে মারধর করে। ভাঙচুর চা🌳লায় বাড়িতে। এমনকী বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়ারও হুমকি দেয়। এছাড়াও রয়েছে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি।
সেই ঘটনায় বিচার ♋চেয়ে কুবজপুর গ্রামের বাসিন্দা ওই দম্পতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখে তাঁদের উপর হওয়া অত্যাচারের কথা জানিয়েছেন। তাঁরা জানিয়েছেন মারধর এবং প্রাণের হুমকি দেওয়ার পরেই ভয়ে তারা অন্যত্র পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন। প্রাণের ভয়ে তাঁদের গবাদি পশু, ক্ষেত-খামার ফেলে চলে গিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি রাজ্য পুলিশের ডিজি, জেলার পুলিশ সুপার এবং জেলাশাসককে চিঠি পাঠিয়েছেন তারা। উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে চোপড়ায় এক যুগলকে রাস্তায় ফেলে সালিশি সভায় মারধরের অভিযোগ উঠেছিল। সেই ঘটনায় নিন্দায় সরব হয়েছ🔜িল বিরোধীরা। ইতিমধ্যে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। চোপড়ার ঘটনার পর এবার প্রায় একই ধরনের ঘটনা ঘটল পূর্ব বর্ধমানে।