তিনদিন আগেই নেতাই গꦯণহত্যা মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত সিপিআইএম নেত্রী ফুল্লরা মণ্ডল জামিন পেয়েছিলেন। আজ, শুক্রবার মেদিনীপুর সংশোধনাগার থেকে মুক্তি পেলেন ফুল্লরা। সুশান্ত ঘোষের পর আরও এক নেত্রী বেরিয়ে এলেন জেল থেকে। দীর্ঘ আট বছর পর শুক্রবার মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেলেন অভিযুক্ত সিপিআইএম নেত্র🌳ী ফুল্লরা মণ্ডল। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে শর্তসাপেক্ষ জামিন পেলেন ফুল্লরা মণ্ডল।
ঠিক কী ঘটেছে মেদিনীপুরে? আজ জেল থেকে বেরোতেই ফুল্লরাকে মালা পরিয়ে দেন সিপিআইএমের কর্মী–সমর্থকরা। তারপর ওই এলাকায় মিছিলও হয়। আজ, শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ২০ হাজার টাকা বেল বন্ডে শর্তসাপেক্ষে জামিন পেলেন মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার থেকে। এদিন ফুল্লরা মণ্ডলকে সংশোধনাগারে স্বাগত জানানোর জন্য উপস্থিত ছিলেন সিপিআইএমের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক সুশ🍬ান্ত ঘোষ, ডাঃ পুলিনবিহারী বাস্কে, বিজয় পাল–সহ অন্যান্য জেলা নেতৃত্ব।
কেন তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল? ২০১১ সালে লালগড়ের নেতাই গনহত্যা কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত হিসাবে নাম উঠে আসে ফুল্লরা মণ্ডলের। এরপর ২০১৪ সালে ফুল্লরা ম🎉ণ্ডল গ্রেফতার হয়। দীর্ঘ আট বছর ধরে তিনি জেলে ছিলেন। লালগড় ব্লকের নেতাই গ্রামে সিপিআইএম নেতা রথীন দণ্ডপাটের বাড়ি থেকে গ্রামবাসীদের উপর গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছিল। ওই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল ৯ জনের।২০১৩ সালে নেতাই হত্যা মামলার তদন্তভার নেয় সিবিআই। পরের বছর ২০ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেয় সি𝓰বিআই। বিচারপর্ব এখনও শেষ হয়নি বলে খবর।
ঠিক কী বলেছেন ফুল্লরা মণ্ডল? এদিন জেল থেকে বেরিয়ে তাঁকে যথেষ্ট খুশি দেখা যায়। তারপর সংবাদমাধ্যমের সামনে তিনি বলেন, ‘আমি আপ্লুত। এতদিন বাদে আমি আমার সাথীদের দেখতে পাচ্ছি। নেতাই মামলায় আমাকে জেলে ঢোকানো ছিল ষড়ܫযন্ত্র।’ আর পশ্চিম মেদিনীপুরের সিপিআইএম জেলা সম্পাদক সুশান্তত ঘোষ বলেন, ‘আজকে ফুল্লরা কথা বলার অবস্থায় নেই। আট বছরে একদিনও প্যারোল পাননি। মা–ভাই মারা যাওয়ার পরেও প✱্যারোল দেওয়া হয়নি তাঁকে। বর্তমান সরকারের চক্রান্তের শিকার ফুল্লরা মণ্ডল। এখনও বহু সিপিআইএম নেতা জেলবন্দি রয়েছেন। তবে যেভাবে বর্তমান সরকারের মুখোশ খুলছে আগামী দিনে মানুষ ছুড়ে ফেলে দেবে।’