দল আলাদা। মতাদর্শ আলাদা। অথচ দু’জনের হাঁটার পথ রাজনীতি। যুযুধান প্রতিপক্ষ হয়েও হঠাৎ একজন আর একজনের বাড়িতে এসে হাজির। এই দৃশ্য দেখেই এখন রাজ্য–রাজনীতিতে নানা গুঞ্জন শুরু হয়েছে। বিরোধী দলের প্রাক্তন সাংসদ তড়িৎবরণ তোপদারের বাড়িতে হাজির তৃণমূল কংগ্রেসের তারকা বিধায়ক তথা পরিচালক রাজ চক্রবর্তী। হঠাৎ কেন সিপিএম নেতার বাড়িতে গেলেন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক? নিশ্চয়ই তড়🍎িৎবাবুকে নিয়ে সিনেমা করবেন না রাজ। এটা একপ্রকার নিশ্চিত। তাহলে কি ജরাজনৈতিক কারণে সাক্ষাৎ? উঠছে দেদার প্রশ্ন।
যদিও এই সাক্ষাৎ রাজনৈতিক নয় বলেই দু’পক্ষের দাবি। এটা নিছকই সৌজন্য সাক্ষাৎ বলে দাবি করা হয়েছে দু’পক্ষ থেকে। কিন্তু একদা দোর্দণ্ডপ্রতাপ সিপিএম নেতার বাড়িতে হঠাৎ তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়কের গমন নিয়ে সৌজন্যের ফর্মুলা খাচ্ছে না রাজ্য রাজনীতির সঙ্গে জড়িতরা। সিপিএমের রাজ্য পার্টি থেকে অবশ্য কিছু বলা হয়নি। তাঁরা নিরুত্তর। একই পথে হাঁটতে গেলে সৌজন্য রাখা উচিত বলেই চাউর করা হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে। বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। আর তা নিয়ে আলোচন🎉া হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।
এদিকে ব্যারাকপুরের একসময়ের দাপুটে সিপিএম নেতা ছিলেন তড়িৎবরণ। ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে বারবার সাংসদও নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। সেখানে গতকাল শুক্রবার হঠাৎ তাঁর বাড়িতে হাজির হন ব্যারাকপুরের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক রাজ। এমনকী টানা প্রায় ৪৫ মিনিট সেখানে কেটেছে রাজের সময়। তারপরও সেটা সৌজন্য সাক্ষাৎ বলে কেউ মেনে নিতে রাজি নন। তবে তড়িৎবরণের সঙ্গে সাক্ষাৎকে সৌজন্য বলে উল্লেখ করেছꦚেন রাজ। আর তড়িৎবরণের ছেলে নীলাদ্রি তোপদার জানান, ব্যারাকপুর নিয়ে একটি ছবি তৈরি🗹 করছেন চিত্রপরিচালক তথা বিধায়ক রাজ। তাই বাড়ি বয়ে দেখা করলেন তড়িৎবরণের সঙ্গে রাজ।
আরও পড়ুন: ‘ওখানেই কর্মীদের সঙ্গে দেখা করব’, মুরলীধর সেন লেনের ভাঙা෴ 𓃲পার্টি অফিসেই যাবেন দিলীপ
ঠিক কে, কি বলছেন? অন্যদিকে এই সাক্ষাৎ নিয়ে পরস্পরের বক্তব্যের মধ্যে পার্থক্য লক্ষ্য করা গিয়েছে। তড়িৎবরণ তোপদার বলছেন, সৌজন্য সাক্ষাৎ। তাঁর ছেলে নীলাদ্রি বলেন, ‘বিধায়ক রাজ বাবা𝄹কে নিয়ে একটি তথ্যচিত্র তৈরি করবেন। বাবা বাড়িতেই ছিলেন। তাই দেখা করলেন। কী কথা হয়েছে তাঁদের মধ্যে বলতে পারব না। অফিস থেকে ফিরে দেখলাম, বাবার সঙ্গে ব্যারাকপুর নিয়ে কথা হয়েছে। অতীত এবং বর্তমানের ব্যারাকপুর নিয়ে কথা হয়েছে।’ আবার রাজ চক্রবর্তীর কথায়, ‘আমি ওঁর সঙ্গে গল্প করতে এসেছিলাম। অনেক অজানা গল্প বললেন ব্যারাকপুর নিয়ে।’ আসল বিষয়টি গোপনেই থেকে গেল।