চিনের উহান থেকে বুধবারই নেমেছিলেন বাগডোগরা বিমানবন্দরে। বিমানবন্দর সূত্রে খবর, দিল্লি- বাগডোগরা বিমানে ফিরেছিলেন তিনি। এয়ারপোর্টে নামার পরে তাঁকে স্থানীয় বাগডোগরা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গিয়েছিলেন বিমানবন্দরের কর্মীরা। সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। তাঁর মৃত্যুকে ঘিরে রহস্য দানা বেঁধেছে। বিমানবন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে এই মহিলা আদতে দার্জিলিংয়ের মিরিক ব্লকের শিয়োকে গ্রামের বাসিন্দা। তাঁর নাম স্মিতা প্রধান রাই(৪৫)। এদিকে তাঁর পরিবার সূত্রে খবর তিনি চিনের উহানে কাজ করতেন। সেখান থেকেই তিনি বাগডোগরায় ফিরেছিলেন। কিন্তু তারপরে কীভাবে তাঁর মৃত্যু হল তা নিয়ে ধোঁয়াশা কাটছে না।এদিকে বাগডোগরা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের তরফেও বিশেষ কিছু জানাতে পারছে না। স্বাস্থ্য কেন্দ্র সূত্রে খবর, তাঁকে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছিল। সেক্ষেত্রে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যায়নি। এদিকে তাঁর দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মৃতার স্বামী বিশাল রাইয়ের দাবি,বুধবার সকালে দিল্লি থেকে ফোনে স্ত্রী জানিয়েছিল বেলা ১১টা ৫০ মিনিট নাগাদ বাগডোগরায় নামবে। সেই মতো বিমানবন্দরে এসে খোঁজ করছিলাম। বেলা ১টা নাগাদ বিমানবন্দরের তরফে জানানো হয়েছে স্মিতাকে বাগডোগরা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। হাসপাতালে এসে জানতে পারি ও মারা গিয়েছে। কীভাবে এই ঘটনা হল বুঝতে পারছি না। এদিকে গোটা ঘটনায় কার্যত ভেঙে পড়েছে পরিবার। যিনি ফোনে বললেন আসছি, হাসপাতালে তাঁকেই মৃত অবস্থায় পেলেন পরিবারের লোকজন।