কথায় আছে কারও পৌষ মাস তো কারোর সর্বনাশ। স্বাভাবিকভাবে সিবিআইয়ের হাতে ধরা পড়ার পর যথেষ্ট চাপে আছেন অনুব্রত মণ্ডল। চাপে আছ꧋ে তৃণমূলও। এদিকে অনুব্রতর সেই চড়াম চড়াম বার্তাই এবার বিরোধীদের কাছে অস্ত্র হয়ে উঠেছে। ব্যꦡুমেরাং হয়ে ফিরছে শাসকের দিকে। অনুব্রতর গ্রেফতারির পরেই গ্রামে গ্রামে উল্লাস শুরু করেছেন বিরোধীরা। পাড়ায় পাড়ায় উঠছে চড়াম চড়াম আওয়াজ। দুর্গাপুজোর এখনও কিছুটা দেরি রয়েছে। তার আগেই ঢাকিদের কাজ মিলতে শুরু করেছে। সৌজন্যে, চড়াম চড়াম।
আসলে বিরোধী শিবিরের পক্ষ থেকে বিভিন্ন এলাকায় ঢাক নিয়ে মিছিল করে গুড়, বাতাসা বিলি করা হচ্ছে। সেই মিছিলে শোনা যাচ্ছে ঢাকের বোল। পুজোর আগেই আগাম ঢাকের বোল। তবে সেই ঢাকের সুর অবশ্য কিছুটা ভিন্ন। পূর্ব মেদিনীপুরের বিরোধীদের একাধিক কর্মসূচিতে দেখা গিয়েছে ঢাক বাজছে। পূর্ব মেদিনীপুরের কাজলাগড়ে বামেদের চোর ধরো জেল ভরো মিছিলেও কান ফাটানো ঢাকের আওয়াজ। কাঁথিতেও ঢাক বাজিয়ে বিরোধীদের মিছিল। দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জায়গায় দেখা গিয়েছে ঢাক বাজিয়ে মিছিল বের করেছেন বিরোধীরা। তবে এই ঢাকের ♈আওয়াজ অবশ্য একেবারেই শ্রুতিমধুর লাগছে না শাসকের কাছে।
অন্যদিকে জলপাইগুড়ির একাধিক এলাকায় দেখা গিয়েছে ঢাকিদের চাহিদা বাড়তে শুরু করেছে। তাঁদের দাবি সাধারণত বিশ্বকর্মা পুজো থেকে ঢাকিদের বায়না মেলে। এই সময়টা🔯তে ঢাকগুলোকে মেরামত করে বাজানোর উপযোগী করে রাখতে হয়। কিন্তু অনুব্রꦓতর গ্রেফতারির পরে আচমকাই অর্ডার আসতে শুরু কর﷽েছে। ঘণ্টা চারেক ঢাক বাজিয়েই ঘরে আসছে ৪০০-৬০০ টাকা। ভালো বাজালে খুশি হয়ে বাড়তি বখসিসও দিচ্ছেন দলের কর্মীরা।