বিহার থেকে বেআইনি অস্ত্র নিয়ে এসে মালদহেই আগ্নেয়াস্ত𒅌্র তৈরির ছক কষা হচ্ছে। গোয়েন্দাদের কাছ♔ে এই গোপন তথ্য এসেছে। কালিয়াচকের পুরনো অস্ত্র কারখানাগুলিকে সক্রিয় করতেই এই ছক কষা হচ্ছে বলে জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। এমনকী বিহারের মুঙ্গের থেকে অস্ত্র তৈরির ডাইস এবং ‘দক্ষ’ কারিগরদেরও আনার ছক করা হয়েছে। এই গোপন তথ্য পেয়েই মালদহ জেলাজুড়ে কড়া নজরদারি শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশকর্তারা।
পুলিশ সূত্রে খবর, কালিয়💯াচকে আগে বেআইনি অস্ত্র কারখানার হদিশ মিলেছিল। তাই এই এলাকায় তল্লাশিতে জোর দিচ্ছে পুলিশ। এই বিষয়ে মালদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) অনীশ সরকার বলেন, ‘কালিয়াচকে অস্ত্র কারখানা গড়ে তোলার মূল মাথা শেখ হুমায়ূন এখন জেলে। তার সঙ্গীরা ফের অস্ত্র কারখানা চালুর ছক কষছে বলে জানতে পেরে নজরদারি চালানো হচ্ছে। আমরা এই ব্যাপারে সতর্ক রয়েছি। বেআইনি অস্ত্রের কারবারিদের রেয়াত করা হবে না।’
ঠিক কী জানা যাচ্ছে? এই জেলার ভৌগোলিক অবস্থান মাফিয়াদের বেআইনি কাজকর্মের ক্ষেত্রে অত্যন্ত সহায়ক। বিহার, ঝাড়ไখণ্ড এবং বাংলাদেশ ঘেরা মালদহে এইসব কারবার বেশি হয়। এখানে মাফিয়ারা আড়ালে বেআইনি কারবার চালায়। এই জেলায় কয়েকজন দুষ্কৃতীর কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্র। তারপরই বিষয়টি নিয়ে পুলিশ আধিকারিকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ে। কারণ, নাইন এমএমের মতো আগ্নেয়♉াস্ত্র পুলিস ও নিরাপত্তাকর্মীরা ব্যবহার করেন। ওই ধরনের অস্ত্র দুষ্কৃতীদের হাতে চলে আসায় উদ্বেগ বেড়েছে।
কেন চিন্তায় পড়েছে পুলিশ𒆙? সূত্রের খবর,🍰 কালিয়াচক, বৈষ্ণবনগর–সহ নানা এলাকায় সাধারণত দেশি একনলা পাইপগান বা ওয়ান শটার বন্দুক তৈরি হয়। সেই কারখানায় কোনওভাবে নাইন এমএম তৈরি হলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠবে। কারণ, চার–পাঁচটি নাইন এমএম পিস্তল দিয়ে বাহিনীর জওয়ানদের সঙ্গে লড়াই করা সম্ভব। প্রতিটি পিস্তলে ১৪–১৫টি বুলেট থাকে। তাই উদ্বেগ বেড়েছে।