সকাল থেকে ট্রেন্ড বলে দিচ্ছিল ধূপগুড়ি উপনির্বাচনের লড়াই হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস বনাম বিজেপির মধ্যে। মাঝে কিছু নেই। যদিও উত্তরবঙ্গের ধূপগুড়ি বিধানসভার উপনির্বাচনে প্রার্থী দিয়েছিল সিপিএম। বাম–কংগ্রেস জোটের প্রার্থী হন ঈশ্বরচন্দ্র রায়। চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ হতেই দেখা গেল, বাম–কংগ্রেসের ভোটব্যা🅘ঙ্ক আবার ট্রান্সফার হয়েছে বিজেপিতে। আর তৃণমূল কংগ্রেস জয়ী হল ধূপগুড়ি বিধানসভা উপনির্বাচনে। তবে বিজেপি এখানে টাফ ফাইট দিয়েছে। মুখ থুবড়ে পড়েছে বাম–কংগ্রেস জোꩲট। যা লোকসভা নির্বাচনের আগে বড় ধাক্কা। তারপরই টুইট করে একদিকে অভিনন্দন আর অন্যদিকে কড়া বার্তা দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
আজ, শুক্রবার টানটান উত্তেজনার মধ্যেই ধূপগুড়ি উপনির্বাচনের ফল প্রকাশ হল। জয়ের হাসি হাসলেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রাথী নির্মলচন্দ্র রায়। বিজেপি এখন শহিদ জওয়ানের স্ত্রীকে দাঁড় করিয়ে বাজিমাত করতে চেয়েছিল। কিন্তু বাংলায় যে এসব আবেগ কাজ করে না সেটা আবার প্রমাণিত হল। উন্নয়নের নিরিখে ভোট হয়েছে ধূপগুড়িতে। তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী নির্মলচন্দ্র রায়, বিজেপির তাপসী রায়, বাম–কংগ্রেস জোটের ঈশ্বরচন্দ্র রায়ের মধ্যে লড়াই হলেও শুরু থেকে লড়াইটা দ্বিমুখী হয়ে যায়। রাজবংশী অধ্যুষিত এই আসন জয়ে লোকসভা নির্বাচনের আগে উত্তরবঙ্গে বাড়তি অক্সিজেন পেল তৃণম🌱ূল কংগ্রেস।
এদিকে ধূপগুড়ি থেকে ইন্ডিয়া জোট হলে চাপমুক্তভাবে জিততে পারত তৃণমূল কংগ্রেস। আজ দুপুরে ধূপগুড়ির চূড়ান্ত ফলাফল সামনে আসতেই টুইট করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লেখেন, ‘ধূপগুড়ির মানুষজনকে ধন্যবাদ। ঘৃণা ও ধর্মান্ধতার বদলে উন্নয়নের রাজনীতি গ্রহণ করার জন্য। তৃণমূল কর্মীদের স্যালুট। আমরা ধূপগুড়ির 🌟সর্ব✱াত্মক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’ অর্থাৎ তিনি যে মহকুমা করার কথা বলেছিলেন সেটা ভোলেননি। এভাবেই আবার মনে করিয়ে দিলেন। সেক্ষেত্রে হাতে আছে তিন মাস সময়।
আরও পড়ুন: ইন্🌜ডিয়া জোট হিসাবে লড়লে বিজেপি ধুয়ে যেত, ধূপগুড়িতে তৃণমূলের জয়ে স্পষ্ট ইঙ﷽্গিত
কেন এমন পরাজয় ঘটল? এখানের সমীকরণ বা পালসটা বুঝে ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যার জন্যই প্রচারে এসে🐬 তিনি ধূপগুড়িকে মহকুমা করার কথা ঘোষণা করেন। আর তাতেই ছিনিয়ে নেওয়া গেল বিজেপির হাতে থাকা আসনটি। উপনির্বাচনের গণনা শেষে বিজেপি প্রার্থী তাপসী রায়কে ৪,৩১৩ ভোটে হারিয়ে জয়ী হলেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী নির্মলচন্দ্র রায়। অভিষেক টুইটে লেখেন, ‘ঘৃণা এবং ধর্মান্ধতার রাজনীতির বদলে উন্নয়নের রাজনীতি গ্রহণ করার জন্য ধূপগুড়ির মানুষকে ধন্যবাদ। অক্লান্ত পরিশ্রম করে জনগণের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের জন্য তৃণমূল কর্মীদের স্যালুট জানাই। আমরা ধূপগুড়ির উন্নয়ন নিশ্চিত করার চেষ্টায় কোনও ত্র🎃ুটি রাখব না। জয় বাংলা।’