দিঘা এখন জনপ্রিয় ‘ট্যুরিস্ট ডেস্টিনেশন’। আর সেটা আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে। কারণ আগামী ৩০ এপ্রিল জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন হবে এই সৈকতনগরীতে। তাই এখন থেকেই দিঘায় সাজ সাজ রব শুরু হয়েছে। যা পুরীতে আছে এবার তাই মিলবে দিঘায়। সমুদ্রসৈকতের সঙ্গে জগন্নাথ মন্দির এবার মিলবে দিঘায়। আর জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধন হয়ে গেলে এখানে পর্যটকদের ভিড় আরও বাড়বে। তাই অতিরিক্ত ভিড় সামাল দেওয়া থꦉেকে শুরু করে নিরাপত্তা এবং নজরদারির উপর বিশেষ জোর দিতে হবে। এই কাজ এখন থেকেই শুরু করল জেলা পুলিশ। তাই নির্মীয়মꦐাণ জগন্নাথ মন্দিরের পাশে জেলা পরিষদের গেস্টহাউসে পুলিশ ক্যাম্প চালু করা হয়েছে।
এই পুলিশ ক্যাম্পে এখন দু’জন এএসআই এবং ১১ জন কনস্টেবলকে নিযুক্ত করা হয়েছে। দিঘা থানা থাকলেও এই ক্যাম্পের বিশেষ প্রয়োজন ছিল নিরাপত্তার স্বার্থে। জগন্নাথ মন্দিরের ভিতরে এবং সংলগ্ন এলাকায় নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন ওই পুলিশ কর্মীরা। ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জগন্নাথ মন্দির নির্মাণের কাজকর্ম দেখতে আসেন। তখনই ওই গেস্টহাউসে পুলিশ ক্যাম্প চালু করার কথা বলে যান মুখ্যমন্ত্রী। কারণ ভিড় নিয়ন্ত্রণ থেকে শুরু করে নজরদারি এবং নিরাপত্তা–সহ পুণ্যার্থীদের যাতে কোনও অসুবিধা নাহয় সে কথা ভেবেই পুলিশ ক্যাম্প তৈরি কর♏তে বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ট্যুরিস্ট গাইড কোর্স চালু করছে রাজ্য পর্যটন দফতর, কেমন করে করা যাবে পাঠ্যক্রম?
অক্ষয় তৃতীয়ার দিনকে বেছে নেওয়া হয়েছে জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনে। তাই এখন ওই এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এই বিষয়ে ডিএসপি (ডিঅ্যান্ডটি) আবু নুর হোসেন বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অনু𓆏যায়ী পুলিশ ক্যাম্প চালু করা হয়েছে। কদিন আগেই মন্দির এলাকার নিরাপত্তা খতিয়ে দেখেন ডিজি রাজীব কুমার। তাঁর নেতৃত্বে উচ্চপদস্থ পꦦুলিশ অফিসাররা পুলিশ ক্যাম্প সম্পর্কে খোঁজখবর নেন। তবে গেস্টহাউস জেলা পুলিশকে হস্তান্তর করা হয়নি। জেলা পরিষদ ২০১৭ সালে এই গেস্টহাউস নির্মাণ করার কাজ শুরু করে। এখনও তা অসম্পূর্ণই আছে। এখন এখানে পুলিশ ক্যাম্প চালু হল। এখন প্রশাসনিক তৎপরতা শুরু হয়েছে। ট্রাফিক ব্যবস্থা গড়ে উঠছে।