বাংলায় সমুদ্র সৈকতগুলির মধ্যে ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে মন্দারমণি। প্রকৃতিকে আরও কাছ থেকে দেখতে সারা বছর ধরেই বহু পর্যটক এখানে ভিড় করেন। আর সেই সঙ্গেই মন্দারমণিতে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠেছে বহু হোটেল, রিসর্ট বা দোকান। তবে এরমধ্যে বহু হোটেল রয়েছে যেগুলি অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে। জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশ মেনে মন্দারমণিতে ১৪০টি বেআইনি হোটেল𝓰 ভাঙতে চলেছে প্রশাসন। জেলা প্রশাসনের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে এবার আদালতের দ্বারস্থ হলেন হোটেল মালিকরা। আগামী ২০ নভেম্বর তার শুনানি।
আরও পড়ুন: মন্দারমণির হোটেল থেকে সমুদ্রসৈকত শুনশান, বেআইনি নির্মাণ ভাঙা নিয়ে চাপে ব্যবসায়ীর💫া
রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী অখিল গিরি বলেন, জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশ অনেক আগেই ছিল। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু নির্মাণ ভাঙা হয়েছে। এগুলি অবৈধভাবে গড়ে উঠেছিল। যদিও এর ফলে পর্যটক এবং ব্যবসায়ীদের ক্ষতি হবে ঠিকই। তবে আদালতের নির্দেশ যেহেতু রয়েছে তাই নির্দেশ কার্যকর করতে হবে। তবে মালিকরা হাইকোর্টে গিয়েছেন। তাদের নথি দেখতে চেয়েছে আদালত। আগামী𝕴 ২০ নভেম্বর মামলার শুনানি। পরবর্তী নির্দেশ মতোই পদক্ষেপ করা হবে বলে তিনি জানান।
উল্লেখ্য, গত ১১ নভেম্বর এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মন্দারমণি এবং আশেপাশের আরও চারটি মৌজায় ১৪০টি হোটেল, লজ, রিসর্ট এবং হোম স্টে বেআইনিভাবে গড়ে উঠেছে বলে অভিযোগ। এনিয়ে আদালতের কড়া নির্দেশের পরেই কোস্টাল রেগুলেটেড জোন ম্যানেজমেন্ট অথরিটি (সিআরজেড)-র পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজির নেতৃত্বে জেলা কমিটি এগুলিকে ভেঙে ফেলতে বলেছে। নির্দেশে বলা হয়েছে, ২০ নভেম্বরে মধ্যে ওই সব বেআইনি নির্মাণ ভেঙে জায়গা ফাঁকা করতে হবে। উল্লেখ্য, এই সৈকত নগরীতে অবৈধভাবে নির্মাণ গড়ে উঠছে বলে অভিযোগ তুলে একটি মামলা করা হয় জাতীয় পরিবেশ আদালতে। মামলাকারী তরফে তাতে অভিযোগ তোলা হয়, এর ফলে উপকূলে সৌন্দর্য নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। তার প্রেক্ষিতে ২০২২ সালে এই বেআইনি হোটেলগুলি ভাঙার নির্দেশ দিয়েছিল জাতীয় পরিবেশ আদালত।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, উপকূল বিধি না মেনে এই সমস্ত হোটেল, রিসর্ট, হোম স্টে অথবা দোকান গড়🦩ে উঠেছিল। এর মধ্যে দাদনপাত্রবাড়ে ৫০টি হোটেল, সোনামুইয়ে ৩৬টি, সিলামপুরে ২৭টি, মন্দারমণিতে ৩০টি হোটেল এবং দক্ষিণ পুরুষোত্তমপুর মৌজায় একটি লজ অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে। সেসব ভাঙা হবে। ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, সাধারণত ডিসেম্বর মাস থেকেই মন্দারমণিতে পর্যটকদের ভিড় বাড়ে । এই অবস্থায় এতগুলি হোটেল, রিসর্ট ভাঙা পড়লে সেক্ষেত্রে তাদের ব্যবসায় চরম ক্ষতি হবে। শুধু তাই নয়, এর ফলে পর্যটকরাও সমস্যায় পড়বেন। হাতে গোনা কয়েকটি মাত্র হোটেল থাকায় তারাও সুযোগ হাতছাড়া করবেন না বলে আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা। এই অবস্থায় হোটেল মালিক ও ব্যবসায়ীরা প্রশাসনের কাছে রুজি-রুটির দিকটি তুলে ধরে বিকল্প ব্যবস্থা করার আবেদন জানিয়েছেন।
এবিষয়ে মন্দারমনি হোটেলে অ্যাসোসিয়েশন সেক্রে♔টারি মুস্তাক আলি খান বলেন, ‘গোটা রাজ্যে এমনিতেই কর্মসংস্থানের অবস্থা খুবই খারাপ। সেই আবহে এতগুলি হোটেল ভেঙে পড়লে এখানকার অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে। তাই বিকল্প ব্যবস্থার জন্য আমি প্রশাসনের ক💃াছে অনুরোধ করব।’