হিজাব পরার সময় ঘটেছিল বিপত্তি। ভুল করে পিন গিলে ফেলেছিল কিশোরী। সেই পিন আটকে গিয়েছিল কিশোরীর শ্বাসনালীতে। যারফলে চরম অস্বস্তির সঙ্গে শ্বাসকষ্টের সমস্যা শুরু হয় কিশোরীর। শেষ পর্য🌌ন্ত উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের তৎপরতায় কিশোরীর শ্বাসনালী থেকে বের হল সেই পিন। জানা গিয়েছে, বুধবার ব্রঙ্কোস্কোপির সাহায্যে কিশোরীর শ্বাসনালী থেকে পিনটি বের করেন হাসপাতালে ইএনটি বিভাগের চিকিৎস൩করা।
আরও পড়ুন: ব্যাটারি, পেরেক সহ কতকিছু, যেন দ♍োকান! পেট ꦦকেটে বের করল ডাক্তাররা, মৃত্যু ছাত্রের
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, জলপাইগুড়ির বাসিন্দা ওই কিশোরীর নাম স্নেহা আফরোজ (১৬)। ঘটনাটি ঘটেছিল সোমবার। হিজাব পরার সময় কিশোরী পিনটি মুখে রেখেছিল। কিন্তু, সেটি হিজাবে লাগানোর পরিবর্তে ভুল করে গিলে ফেলেছিল কিশোরী। আর তারপরেই ঘটে বিপত্তি। কাশি এবং শ্বাসকষ্টের সমস্যা শুরু হয় কিশোরীর। প্রথমে পরিবারের সদস্যরা নিজেই পিন বের করার চেষ্টা করেন। কিন্তু, না পেরে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় গ্রামীণ হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকরা পিন বের করতে পারেননি। তখন জলপাইগুড়ি হাসপাতালে রেফার করা হয় স্নেহাকে। কিন্তু, সেখানেও চিকিৎসকরা কিশোরীর শ্বাসনালী থেকে পিন বের করতে পারেননি। অবশেষে কিশোরীকে নিয়ে যাওয়া হয় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে।
চিকিৎসকরা রোগীকে দেখা মাত্রই গুরুত্ব বুঝে একটি মেডিক্যাল টিম তৈরি করেন। ইএনটি ও হেড নেক সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক রাধেশ্যাম মাহাতো, সৌমিক দাস, মনিদীপা সরকার, সৌমেন্দু ভৌমিক, অজিতাভ স🉐রকার ও তপব্রত পাল ছিলেন সেই টিমে। এছাড়াও ছিলেন অ্যানেস্থেসিয়া বিভাগের চিকিৎসক সুব্রত মণ্ডল ও শান্তনু ঘোষ। ইএনটি বিভাগের প্রধান রাধেশ্যাম মাহাতো জানান, এটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। তবে অন্যান্য চিকিৎসক নার্স এবং কর্মীদের তৎপরতায় সফলভাবে পিন বের করা সম্ভব হয়েছে।
স্নেহার বাবা সাহিদার আলি পেশায় একজন দিনমজুর। তিনি জানান, মেয়েকে প্রথমে গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন। সেখানে চিকিৎসকরা পিন বের করতে পারেননি। পরে নিয়ে যাওয়া হয় জলপাইগুড়ি জেলা হাসপা🔯তালে। এছাড়াও বেশ কয়েকটি নার্সিংহোমেও নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু, কেউ পিন বের করতে পারেননি। তাছাড়া আর্থিক খরচ বহন করতে না পারায় শেষ পর্যন্ত উত্তরবঙ্গ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা শ্বাসনালীতে আটকে থাকা পিন বের করতে সক্ষম হয়েছেন। এর জন্য চিকিৎসকদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, কিশোরীর অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল রয়েছে। আজ অথবা আগামীকাল তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে।