'মুর্শ🐠িদাবাদে অধীর চৌধুরী কোনও ফ্যাক্টরই নন' বলে কি আদতে ‘নেতা’ রাহুল গান্ধীকে চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? যে রাহুলের ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’ কলকাতা বা দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ জায়গায় প্রবেশ না করলেও অধীরের খাসতালুক মুর্শিদাবাদ দিয়ে যাবে। ওয়াইনাডের কংগ্রেস সাংসদের যাত্রার রুটম্যাপ অনুযায়ী, কোচবিহার এবং শিলিগুড়ির পাশাপাশি মুর্শিদাবাদে আসবে রাহুলরা। সেই যাত্রা যখন মুর্শিদাবাদে এসে পৌঁছান, তখন অধীরকে পাশে নিয়ে রাহুল কোনও পালটা জবাব দেন কিনা, সেদিকে তাকিয়ে আছে রাজনৈতিক মহল।
আর সেই যাবতীয় জল্পনা 𒁏শুরু হয়েছে শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে। শুক্রবার꧑ মুর্শিদাবাদের তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে কালীঘাটে নিজের বাড়িতে বৈঠক করেন মমতা। সেখানে একেবারে সরাসরি তিনি জানিয়ে দেন যে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়লে মুর্শিদাবাদে কোনও ফ্যাক্টরই হবেন না অধীর। যিনি বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ এবং লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা। বরং অধীরকে রুখেই রাজ্যেই ৪২টি লোকসভা আসনেই জয়ের জন্য ঝাঁপানোর নির্দেশ দিয়েছেন মমতা।
আরও পড়ুন: Mamata v𒁏s Adhir Ranjan: কংগ্রেসের সঙ🍨্গে জোটের আশা পণ্ড করে মমতা বললেন, ধুর অধীর কোনও ফ্যাক্টরই নয়
অর্থাৎ মমতা স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে পশ্চিমবঙ্গে ‘ইন্ডিয়া’ জোটের সম্ভাবনা দেখছেন না। সেটার কারণও ব্যাখ্যা করে দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তৃণমূল সূত্রে খবর, মমতা বলেছেন যে রাজ্যের ১২টি লোকসভা আসন চাইছে কংগ্রেস। কিন্তু সেই দাবি পুরোপুরি অযৌক্তিক। যে রাজ্যে একটিও বিধানসভা আসনে জিততে পারে না কংগ্রেস, বিধানসভায় একজন বিধায়কও নেই, সেই দলকে তো একটাও লোকসভা 🥀আসন ছাড়া উচিত নয়। তাও জোটের ধর্ম মেনে দুটি আসন (কোন আসন উল্লেখ না করলেও রাজনৈতিক মহলের ধারণা, অ🧸ধীরের নিজের আসন বহরমপুর একটি হতে পারে) পর্যন্ত ছাড়তে রাজি হয়েছিলেন। কিন্তু তাতে রাজি নয় কংগ্রেস। আর তৃণমূলের পক্ষেও দুইয়ের বেশি আসন ছাড়া সম্ভব নয়। ফলে রাজ্যে যে তৃণমূল কোনও জোট ছাড়াই লড়ছে, তা কার্যত স্পষ্টত করে দিয়েছেন মমতা।
আরও পড়ুন: তৃণমূলের সঙ্গে জোট চাইছেন না 🐟প্রদেশ নেতারা, এআইস🍨িসি’র পর্যবেক্ষককে রায় জানালেন
আর অধীর নিজেও যে রাজ্যে তৃণমূলের সঙ্গে হাত মিলিয়ে লড়তে চান না, তা একাধিকবার বুঝিয়ে দিয়েছেন বলে রাজনৈতিক মহলের মত। কিন্তু এবার মমতা তাঁকে একেবারে কো𝔍নও ফ্যাক্টর হিসেবে গণ্য না করার মধ্যে দিয়ে কি রাহুলকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন কিনা, তা নি♐য়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। যদিও একাংশের মতে, রাহুল সম্ভবত ওই বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলবেন না। বরং তিনি ‘ফ্যাক্টর’ কিনা, সেটা বোঝাতে নিজেই মুখ খুলবেন অধীর। আর ভোটের বাক্সে তো বোঝানোর জন্য মরিয়া থাকবেন।