জলপাইগুড়ির জুবলি পার্ক সংলগ্ন তিস্তা পাড়ে বসেছিল মদের আদর। সেইসঙ্গে গাঁজা খাওয়াও চলছিল। পুলিশ এসে নিষেধ করাত🎃েও কোনও কাজ হয়নি। উল্টে অসভ্য আচরণ করে নেশাগ্রস্ত যুবক–যুবতীরা। পুলিশ চারজন যুবক–যুবতীকে গ্রেফতার করেছে। এদের মধ্যে একজন আইনজীবী বলেও পুলিশ জেরা করে জানতে পেরেছে।
জানা গিয়েছে, জলপাইগুড়ღিতে তিস্তা নদীর পাড়ে মদ ও গাঁজার আসর বসিয়েছিলেন দুই যুবক ও দুই যুবতী। সেই সময় মহিলা পুলিশরা এলাকায় টহল দিচ্ছিল। পুলিশ এসে যুবক–যুবতীদের সতর্ক করে দিলে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় অসভ্য আচরণ শুরু করে তারা। এরপরই পুলিশ ওই চারজনকে গ্রেফতার করে। চারজনকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে, এদের মধ্যে দুজন কলেজ পড়ুয়া। এজন পেশায় আইনজীবী। একজন নর্থবেঙ্গল ইউনিভার্সিটির সমাজ বিজ্ঞানের পড়ুয়া, আরেকজন এসি কলেজের বিএ পাস কোর্সের দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া ও অন্যজন বাংলা সহয়তা কেন্দ্রের কর্মী। এদের সকলের বাড়ি জলপাইগু🐻ড়ি শহরের মধ্যে। আইনজীবী যাকে ধরা হয়েছে, তিনি সদর কোর্টে ওকালতি করেন। জানা যায়, এরা প্রত্যেকেই শিক্ষিত ও সম্পন্ন পরিবারের ছেলেমেয়ে। এই ধরনের ছেলেমেয়েরা প্রকাশ্যে এভাবে মদ্যপান ও নেশাভান করায় স্বভাবতই বিচলিত পুলিশ প্রশাসন।
শিক্ষিত পরিবারের ছেলেমেয়েরা এভাবে অসামাজিক কাজকর্মে জড়িয়ে 🍨পড়ায় কিছুটা হলেও চিন্তিত পুলিশ প্রশাসন। তবে পুলিশের কাছে এই ধরনের ঘটনা নতুন নয়। মাসখানেক আগে একটি খবর প্রকাশ্যে এসেছিল, যেখানে পুলিশ জানতে পারে, শিক্ষিত যুবকদের মধ্যে মাদক নেওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। এই নেশা করার টাকা জোগাড় করার জন্য পকেটমারি করতেও পিছ পা হচ্ছে না ওই সব যুবকরা। মাসখানেক আগে মালদহে এই ধরনের ঘটনা সামনে এসেছিল।