দায়িত্বে আসার পর কলকাতার সাধারণ মানুষের সমসꦬ্যা সমাধানে ‘টক টু মেয়র’–এর অনুষ্ঠান করেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। একইসঙ্গে মানু্ষের সমস্যা সমাধানে হোয়াটসঅ্যাপকেও কাজে লাগিয়েছেন মেয়র। এবার মেয়রের পথে হেঁটে হোয়াটস অ্যাপকেই জনসংযোগের হাতিয়ার হিসাবে কাজে লাগাচ্ছেন দক্ষিণ কলকাতার এক কাউন্সিলর।
এই প্রথম কলকাতা পুরনিগমের ১০২ নম্বর ওয়ার্ডটি বামেদের হাত থেকে ছিনিয়ে এনেছেন তৃণমূলের প্রার্থী সীমা ঘোষ। কাউন্সিলার হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার পর জনসংযোগের ওপরই জোর দিয়েছেন তিনি। আর এই জনসংযোগের হাতিয়ার হিসাবে হোয়াটসঅ্যাপকেই কাজে লাগাচ্ছেন সীমাদেবী। সম্🔜প্রতি এলাকাবাসীর কাছে সীমাদেবী আহ্বান করেছেন, এলাকার মানুষের যদি রাস্তা, জল, নিকাশি, আলো নিয়ে কোনও সমস্যা থাকে, তাহলে তাঁর হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে ছবি সহ তথ্য জানাতে পারেন। তবে একইসঙ্গে এও জানিয়ে দিয়েছেন কাউন্সিলার, পারিবারিক বা জমি সংক্রান্ত য꧃দি কোনও সমস্যা থাকে, তাহলে সেটি যেন তাঁকে না জানানো হয়।
নতুন এই উদ্যোগ প্রসঙ্গে এই ওয়ার্ডের নতুন তৃণমূল কাউন্সিলার জানান, ‘কিছুদিন আগেই এই হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর চালু হয়েছে। এরইমধ্যে এলাকার বেশ কয়েকজন নিজেদের সমস্যার কথা জানিয়েছেন। অনেকক্ষেত্রেই এই সব সমস্যার সমাধান হয়েছে। যেগুলি আমার কাছে মনে হয়েছে বড় সমস্যা, সেগুলি বোরো অফিসে বা কলকাতা পুরনিগমের প্রধান দফতরে সংশ্লিষ্ট বিভাগে জানিয়ে রাখছি।’ একইসঙ্গে তিনি জানান, ‘নিকাশি পাইপলাইন থেকে নিয়মিত পলি তোলার কাজ চলছে। এলাকায় পানীয় জলের কিছু সমস্যা রয়েছে। সমস্যা সমাধানে বুস্টার পাম্পিং স্টেশন তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’ যদিও এই ব♒িষয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি ৯৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দেবাশিস মুখোপাধ্যায়। এই প্রসঙ্গে তিনি জানান, ‘মানুষকে ভাওতা দেওয়ার জন্য এই সব চমক দিচ্ছেন কাউন্সিলর। সব শো গেম চলছে।’