বড়দিনকে কেন্দ্র করে রাজ্যের পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে উপচে পড়া ভিড় হয়েছে পর্যটকদের। সেক্ষেত্রে পর্যটকদের নিরাপত্তা দিয়ে থাকে পুলিশ। কিন্তু, সেই পুলিশই মদ্যপ অবস্থায় কার্যত দুষ্কৃতীদের মতো তাণ্ডব চালালো। পর্যটকদের গাড়ির চালককে মারধর করা𝐆র পাশাপাশি রিসর্টের কর্মীদের মারধর করার অভিযোগ উঠেছে মদ্যপ পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির মেটেলিতে। এই ঘটনার জেরে কার্যত আতঙ্কে রয়েছেন পর্যটকরা।
আরও পড়ুন: মদ্যপায়ী পুলিশদে𝐆র বিরুদ্ধে๊ ব্যবস্থা নেবে লালবাজার, দেওয়া হতে পারে ‘ডেস্ক জব’
জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে ডুয়ার্সের চালসা ইনডর মোড় এলাকার একটি রিসর্টে পুলিশের পোশাক পরে তিনজন আসেন। তারা প্রত্যেকেই মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। সেখানে তারা ঘরের বুকিং চান। কিন্তু রিসর্টের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় কোনꦅও ঘর খালি নেই। এই নিয়ে রিসর্ট কর্মীদের সঙ্গে তাদের বচসা বাঁধে এবং তার জেরে পুলিশের পোশাক পরা ওই তিনজন রিসর্ট কর্মীদের মারধর করেন। এমনকী পর্যটকদের গাড়ির চালককে মারধর করেন বলে অভিযোগ। এদিন চিৎকার, চেঁচামেচি শুনে রিসর্টে থাকা পর্যটকরা ঘর থেকে বেরিয়ে এসে এই দৃশ্য দেখে কার্যত আতঙ্কিত হয়ে ওঠেন। অনেকেই এই ঘটনার ভিডিয়ো ক্যামেরাবন্দি করেন। পরে রিসর্ট কর্মীরা মেটেলি থানায় খবর দেন। খবর পেয়ে মেটেলি থানার অন্যান্য পুলিশ কর্মীরা সেখানে যান। তাদের সঙ্গে পুলিশের পোশাক পরা তিনজনের ধস্তাধস্তি হয় বলে অভিযোগ।
তারপরে সোশ্যাল মিডিয়ায় পুলিশ কর্মীদের তাণ্ডব চালানোর সেই দৃশ্য ভাইরাল হয়। তাতে স্বাভাবিকভাবেই পুলিশের ভূমিকা নিয়꧙ে বড়সড় প্রশ্ন উঠেছে। যে পুলিশদের কাজ হল পর্যটকদের নিরাপত্তা দেওয়া সেই পুলিশকর্মীরাই এরকম তাণ্ডব চালানোই প্রশ্ন তুলেছেন পর্যটকদের একাংশ।পর্যটকদের বক্তব্য, তারা দূর দূরান্ত থেকে সেখানে ঘুরতে গিয়েছেন। অনেকেই গিয়েছেন সপরিবারে, তাদের সঙ্গে শিশুও রয়✨েছে। কিন্তু রিসর্টের মধ্যে পুলিশ কর্মীদের এরকম তাণ্ডব চালানোর ঘটনায় কার্যত তারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। পর্যটকদের এক গাড়ি চালক বচসা থামাতে গেলে তাকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পরে স্থানীয় থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশ। মেটেলি থানার এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, কোনও মারধরের ঘটনা ঘটেনি। শুধুমাত্র বচসা হয়েছিল।