আজ মহালয়া। পিতৃপক্ষের অবসান হয়ে দেবীপক্ষের সূচনা হয়েছে। সকাল থেকেই ঘাটে ঘাটে তর্পণ চলছে। হাতে আর বেশি সময় নেই। আর একসপ্তাহᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚ পর গোটা রাজ্য মেতে উঠবে শারদ উৎসবে। এই আবহে লাফিয়ে বাড়ছে ফুলের দাম। আর তাই পুজো উদ্যোক্তাদের কপালে ভাঁজ পড়েছে। এমনিতেই বৃষ্টিতে চারিদিক প্লাবিত। তার উপর ডিভিসি জল ছাড়ায় বন্যা হয়ে গিয়েছে উত্তর থেকে দক্ষিণবঙ্গ। হাজার হাজার মানুষ এখনও জলবন্দি। অনেকের♏ কাজকর্ম শিকেয় উঠেছে। তাই একাধিক দুর্গাপুজো কমিটি এখন চিন্তায় পড়েছে। ফুলের জন্য অতিরিক্ত বাজেট বরাদ্দ করার কথা ভাবতে শুরু করেছেন অনেকে।
এদিকে দু’দফায় নিম্নচাপের বৃষ্টিতে বনগাঁ মহকুমায় বিস্তীর্ণ ফুল খেত ভেসে গিয়েছে। ফুলের বহু জমি জলের তলায়। জেলা উদ্যানপালন দফতর সূত্রে খবর, এবার বনগাঁ মহকুমায় ১ হাজার ৯৪ হেক্টর জমিতে ফুল চাষ হয়েছিল। কিন্তু অতিবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৭২৬ হেক্টর জমির চাষ। এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে গাঁদা, রজনীগন্ধা, দোপাটি, বোতাম, জবা, নীলকন্ঠ, আকন্দ, ফুলের বিরা🐠ট ক্ষতি হয়েছে। সনৎ মণ্ডল নামে এক যুবক ঠাকুরনগর থেকে ফুল কিনে কলকাতা শহরে বিক্রি করেন। তিনি এবার সার্বিক পরিস্থিতি দেখে বলেন, ‘গাছে এখন ফুল নেই। খেত সম্পূর্ণ জলমগ্ন। দুর্গাপুজো উদ্যোক্তারা ১০ হাজার টাকার যে ফুল কিনতেন, তাঁদের এবার সেই ফুলই কিনতে হবে ২০ হাজার টাকায়।’
আরও পড়ুন: মহালয়ার দিন নির্যাতিতার বাড়িতে হাজির সিবিআইয়ের দল, কেন আবার ঝটিকা সফর?
অন্যদিকে হাওড়া–হুগলি থেকে গাইঘাটা আর্থ–সামাজিক জীবনটাই ফুল চাষের উপরে নির্ভরশীল। এখানে সকাল থেকে খুচরো ব্যবসায়ীরা ফুল বিক্রি করেন। আবার পাইকারি বিক্রেতারা এখন মহাসংকটে পড়েছেন। তাঁরাও কম দামে ফুল দিতে পারছেন না। কারণ ফুল পচে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বনগাঁ মহকুমার ঠাকুরনগর র🍨াজ্যের অন্যতম বড় ফুলের বাজার। দূর থেকে বহু চাষিরা এই বাজারে ফুল এনে বিক্রি করেন। এখান থেকে ফুল কিনে কলকাতা নিয়ে গিয়ে চড়া দামে বিক্রি করেন। এই বিষয়ে সনৎ মণ্ডলের বক্তব্য, ‘ফুল বাজার থেকে কিনে নিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু ক্রেতারা ফুলের এত দাম মানতে চাইছেন না। সোমবার রজনীগন্ধা কিনেছিলাম ১২০–১൲৩০ টাকায়। মঙ্গলবার সেই দাম বেড়ে হয় ২৭০–২৮০ টাকা।’