দুর্গাপুজো আসতে আর একমাসও বাকি নেই। কিন্তু দুর্গাপুজোয় আনন্দ করতে তো অর্থ লাগবে। কিন্তু ডুয়ার্সের চা–বাগানের শ্রমিকদের এখনও বোনাসের টাকা পাওয়া নিয়ে কোনও নিষ্পত্তি হয়নি। তাই তাঁরা কেনাকাটা শুরু করতে পারেননি। আর হাটগুলির ব্যবসায়ীর💖া তাই অপেক্ষা করে দিন কাটাচ্ছেন। কারণ এই চা শ্রমিকরা দুর্গাপুজোর বোনাস পেলে কেনাকাটার তুঙ্গে উঠবে। কিন্তু ৫, ৯ এবং ১০ সেপ্টেম্বর তিনদিনে তিনটি বৈঠক হয়েছে। অথচ চা–বাগানের শ্রমিকদের দুর্গাপুজো বোনাসের নিষ্পত্তি না হওয়ায় দু’পক্ষই চাপে রয়েছেন। কবে চা–বাগানের শ্রমিকরা বোনাসের টাকা হাতে পাবেন? উঠছে প্রশ্ন।
আগামী ২০ অথবা ২১ সেপ্টেম্বর কলকাতায় আবার চা–বাগানের শ্রমিকদের দুর্গাপুজো বোনাস নিয়ে বৈঠক হবে বলে সূত্রের খবর। তবে সেদিনের বৈঠকেও বোনাসের নিষ্পত্তি যদি না হয় তাহলে চা–বাগানের শ্রমিকদের দুর্গাপুজো ভাল কাটবে না। আবার ডুয়াওর্সে যে হাট ব্যবসায়ীরা আছেন তাঁদের বিক্রিও ভাল হবে না। সব মিলিয়ে একটা কঠিন অবস্থা তৈরি হবে। ডুয়ার্সে চা–বাগানের বিখ্যাত হাট হ্যামিল্টগঞ্জ। এই হ্যামিল্টনগঞ্জ ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক বিপ্লব ঘোষ বলেন, ‘এখন হাটে বেচাকেনার অবস্থা ভাল নয়। তার উপর যদি চা–বাগানের শ্রমিকদের বোনাস নিষ্পত্তি না হয় তাহলে তার মারাত্মক প্রভাব পড়বে হাটগুলিতে। আমরা চাই দ্রুত চা–শ্রমিকদের বোনাস নিষ্পত্তি হোক।’
আরও পড়ুন: বদলি করা হয়েছে অভীক দে’র স্ত্রীকে, স্বাস্থ্য ভবনের নির্দেশে সরতে হল বর্ধমান হাসপাতাল থেকে
পরস্পরের কেনাবেচার মধ্যেই হাট–বাজারের অর্থনৈতিক স্থিতাবস্থা বজায় থাকে। আর সেটা ঠিক না থাকলেই বাজার খারাপ। এই বিষয়ে আলিপুরদুয়ার চেম্বার অফ কমার্সের সাধারণ সম্পাদক প্রসেনজিৎ দে’র বক্তব্য, ‘মালিকপক্ষকে শ্রমিকদের বোনাস দিতᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚেই হবে। সেটা যেদিনই হোক। বোনাস সঠিক সময়ে না হলে চা–শ্রমিকরা কবে দুর্গাপুজোর কেনাকাটা করবেন? দ্রুত বোনাস না হলে শ্রমিকদের সঙ্গে বাগানের হাটের ব্যবসায়ীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। ২০ অথবা ২১ তারিখ যদি বোনাস চুক্তির ফয়সালা না হয় তাহলে এবার চা–বাগানের হাটগুলির দুর্গাপুজোর কেনাকাটা জোর ধাক্কা খাবে। তাতে বড় ক্ষতির মুখে পড়বেন হাট ব্যবসায়ীরাই।’