বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূল কংগ্রেসের একাধিক মন্ত্রী বারবার আওয়াজ তুলেছেন, একশো দিনের কাজ করেও গরিব মানুষ টাকা পাননি। কেন্দ্রীয় সরকার একশো দিনের কাজের টাকা আটকে রাখায় গ্রামীণ মানুষের জীবন দ♎ুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। তার সঙ্গে আছে জব কার্ড থাকলেও কাজ না পাওয়ার জ্বালা এবং অনেকের আবার জব কার্ড নেই। এইসব মানুষজনই দারিদ্রের সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছিলেন। যার সুযোগ নেয় কৃষ্ণপদ বাগ ওরফে ভানু। আর দারিদ্র কাটাতে এই গ্রামের মানুষজনই শ্রমিক ♈হিসাবে বাজি কারখানায় কাজ করতে যান। টাকা রোজগার করতে গিয়ে তাঁদের প্রাণ গেল।
এদিকে এই কৃষ্ণপদ বাগ ওরফে ভানু বাম জমানা 𓃲থেকে এখন পর্যন্ত নানা প্রভাব খাটিয়ে চালিয়ে গিয়েছে বৈধ লাইসেন্স ছাড়া বেআইনি বাজি কারখানা। গরিব মানুষকে টাকার টোপ দিয়ে এখানে নিয়ে আসা হতো। বিশেষ করে যাঁরা একশো দিনের কাজ করে টাকা পাননি বা দেনার দায়ে কোণঠাসা। এই ভানুর বাজি কারখানায় ১৯৯৫ সালে প্রথম বিস্ফোরণ ঘটে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছিল। ২০০১ সালের বিস্ফোরণে প্রাণ যায় ভানুর নিজের ভাই–সহ তিনজনের। তারপরও রমরমিয়ে চলেছে এই বাজি কারখানা। কেমন করে তা সম্ভব হল? উঠছে প্রশ্ন।
ঠিক কী ঘটেছে এগরায়? স্থানীয় সূত্রে খবর, গ্রামের গরিব মানুষজন যখন আর্থিক অনটনে ভুগছেন তখন সেই সুযোগটা নেয় ভানু। দৈনিক ৪০০ টাকা মজুরির টোপ দিয়ে বাজি কারখানায় কাজ করিয়ে নিত ভানু। আবার কেউ রাজি না হলে তাকে হুমকিও দেওয়া হয়েছে। কারণౠ কাজ করিয়ে সেই বাজি বা বোমা বাইরে চড়া দামে পাচার করা হতো। মঙ্গলবারের ভয়াবহ বিস্ফোরণে মৃত শ্যামশ্রী মাইতির ছেলে কৌশিক বলেন, ‘বাবা দিনমজুরি করেন। আমার পড়ার খরচ জোগাড় করতেই মা–কে ব🎃াজি কারখানায় কাজে করতে হয়েছিল। কারণ মায়ের একশো দিনের কাজ করে টাকা পাননি। আবার কখনও কাজও পাননি।’