শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে চলে যাওয়ার পরে পূর্ব মেদিনীপুরে দলের হাল যিনি ধরেছিলেন তিনি আর কেউ নন সৌমেন মহাপাত্র। তবে সেই সৌমেন মহাপাত্র কার্যত দলের অন্দরেই কোণঠাসা। যখন তিনি মন্ত্রী ছিলেন, দলের শীর্ষ নেতৃত্ব হিসাবে ছিলেন তখন তাঁর চারপাশে ঘিরে থাকতেন অনেক কেষ্ট বিষ্টুরাই। কিন্তু এখন তিনি কার্যত একলা। আর সেই অভিমানই ঝরে পড়ল পাঁশকুড়া পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের একটা মেলার উদ্বোধনে।তিনি সেখানে বলেন, আমাদের মেলা সকলকে নিয়ে মেলা। হয়তো বা আপনাদের কোথাও আক্ষেপ রয়েছে। পদের বড় মোহ। আমি যদি পদে থাকতাম তবে জেলাশাসক, পুলিশ সুপার থেকে শুরু করে এখানকার চেয়ারম্য়ান এই মঞ্চ অলংকৃত করতেন। আমি তাদের শুভকামনা চাই। তাঁরা ভালো থাকুন। পদ নিয়ে থাকুন। আজকে তাঁদের কাউকে দেখিনি। তবে অনেকেই আবার এসেছেন। বিন্দু দিয়েই সিন্ধু হয়। তিনি বলেন, আজ হয়তো আমার পদ নেই। সেজন্য আমার কোনও দুঃখও নেই। আমার কোনও আক্ষেপ নেই। কারও বিরুদ্ধে কিছু বলি না। তবে এক একটা শক্তি ক্ষয় হলে সেখানে তৃতীয় শক্তি মাথাচাড়া দেয়। এটাও সকলের মনে রাখা দরকার। ….তবে আমি বিজ্ঞানের ছাত্র। যেখানে সহ্য করতে করতে একটা জায়গা আসে যে সেখানে বিস্ফোরণ ঘটে। আমি চাই না সেটা হোক। আমি আমার ১০ নম্বর ওয়ার্ড নিয়েই থাকতে চাই। সামনেই লোকসভা ভোট। তার আগে বিস্ফোরক প্রাক্তন মন্ত্রী। একটা সময় তিনি ছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরে দলের শেষ কথা। তিনি গাড়ি থেকে নামলেই ছুটে আসতেন দলের কর্মী, নেতারা। তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তোলার জন্য় হুড়োহুড়ি পড়ে যেত। একাধিক দায়িত্ব সামলাতে হত তাঁকে। রাজ্যের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দফতরের দায়িত্ব তিনি সামলাতেন। তবে সেই সেচ দফতরের দায়িত্বও আর তাঁর হাতে নেই। দলের বড় পদেও নেই তিনি। কিন্তু অভিমান জমতে জমতে, অবজ্ঞা জমতে জমতে এবার কি বিস্ফোরণের অপেক্ষায়! সেটা কি এবার লোকসভা ভোটের আগেই হবে? প্রাক্তন মন্ত্রীর এই অভিমানে শোরগোল পড়েছে দলের অন্দরেও।