বিস্ফোরক উদ্ধারকাণ্ডের তদন্তে তিহাড়ে সায়গল হোসেনকে জারার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বীরভূমে ফের উদ্ধার হল বিস্ফোরকের পাহাড়। শুক্রবার রাত থেকে চলা তল্লাশিতে নলহাটি থানা এলাকার চন্দননগর গ্রাম থেকে বিপুল পরিমান বিস্ফোরক উদ্ধার করেছে জেলা পুলিশ। পরিত্যক্ত পাথর খাদানের ঘরে বিস্ফোরক ও ডিটোনেটরগুলি✤ রাখা ছিল বলে জানা গিয়েছে।
নলহাটি থানার এলাকার চন্দননগর গ্রামে পাথর খাদানে বিস্ফোরক রাখা আছে বলে গোপন সূত্রে খবর পায় পুলিশ। সেই খবরের ভিত্তিতে শুক্রবার গভীর রাতে খাদানে অভিযান চালায় পুলিশ। তখনই খাদানের ঘর থেকে ২৪ জিলেটিন স্টিক, ২১ হাজার ডিটোনেটর ও ১৪ বস্তা অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটের খোঁজ পান পুলিশ আধিকারিকরা। খবর যায় বম্ব স্কোয়াডে। সকালে বম্ব স্ꦫকোয়াড এসে বি🔯পুল পরিমাণ বিস্ফোরক ও ডিটোনেটর উদ্ধার করে নিয়ে যায়। তবে কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
২০২২ সালে বীরভূমের মহম্মদবাজারে একটি ট্রাক থেকে ৮১ হাজার জিলেটিন স্টিক উদ্ধার করেছিল STF. সেই ঘটনার তদন্তে চন্দননগর গ্রাম সংলগ্ন একটি খাদানে তল্লাশি চালিয়ে পাওয়া গিয়েছিল প্রচুর বিস্ফোরক। সেই ঘটনার তদন্তভার নেয় NIA. বৃহস্পতিবার কলকাতা থেকে NIAর আধিক𒀰ারিকরা দিল্লিতে তিহাড় জেলে গিয়ে সায়গল হোসেনকে জেরা করেন। তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, সায়গলই পুলিশের সাহায্যে বিস্ফোরক পাচারের জন্য গ্রিন করিডর তৈরি করে দিত।
স্থানীয়দের অবশ্য দাবি, এই বিস্ফোরকের সঙ্গে কোনও নাশকতার যোগ নেই। পাথর খাদানে ব্যবহার করা হয় এই বিস্ফোরক। সবই পুলি༒শ জানে।
বিজেপির দাবি, কেন্দ্রীয় এজেন্সি হানা দিলে শাসকদলের অনেক নেতা ধরা পড়ে যেতে পারে। তাই নিজেরাই তাড়াহুড়ো করে বিস্ফꦅোরক উদ্ধার করে ব্যাপারটা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে।