দীর্ঘদিন ধরেই বাগডোগরা বিমানবন্দরের সম্প্রসারণের ব্যাপারে কথাবার্তা চলছে। নাইট ফ্লাইট চালু নিয়ে কথা বলার পাশাপাশি এই বিমানবন্দর সম্প্রাসরণ নিয়ে বছরের পর বছর ধরে আলোচনা হয়েছে। কিন্তু নানা কারণে এই সম্প্রসারণ সংক্রান্ত জট কিছুতেই কাটছিল না। তবে এবার এতদিনে আশার কথা সামনে আসছে।তবে সূত্রের খবর, দেশের অন্তত তিনটি বড় সংস্থা এই বিমানবন্দর সম্প্রাসারণের ক্ষেত্রে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। সব দিক ঠিক থাকলে ডিসেম্বরেই ভূমি পুজো করার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা চলছে। তবে কোন সংস্থা এই কাজের দায়িত্ব পাবে তা নিয়ে কয়েকটি প্রক্রিয়ার মধ্য়ে দিয়ে যেতে হবে।এই বিমানবন্দরের সম্প্রসারণ হলে আরও বেশি করে বিমান এখানে ওঠানামা করতে পারবে। এমনকী বিদেশ থেকে সরাসরি বিমান এখানে আরও বেশি করে আসবে। দুটি দিক থেকে বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রথম বিষয়টি হল অবস্থানগত দিক থেকে শিলিগুড়ি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেক্ষেত্রে বাগডোগরা বিমানবন্দরের সম্প্রসারণ হলে বিমান ওঠানামার আরও সুবিধা হবে। সেই সঙ্গেই বাগডোগরা বিমান বন্দরে নেমেই গাড়িতে দার্জিলিং যেতে হয়।সেক্ষেত্রে বাগডোগরা বিমানবন্দর সম্প্রসারণ হলে পর্যটনের ক্ষেত্রেও নয়া দিশা মিলবে। সব মিলিয়ে ১০৪ একরের মতো জমি অধিগ্রহণ ও সমীক্ষা করা হয়েছে। ৯৫০.৪৫ কোটির টেন্ডার ডাকা হয়েছিল গত সেপ্টেম্বর মাসে। এরপর থেকেই এনিয়ে প্রক্রিয়া শুরু হয়। কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণমন্ত্রক এই বিমানবন্দরের সম্প্রাসারণ ও আধুনিকীকরণের জন্য ১,৮৮৪ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। প্রথম পর্যায়ের ৯৫০.৪৫ কোটি টাকা বরাদ্দের টেন্ডার করা হয়েছে। পরবর্তী ধাপে আরও কাজ করা হবে।নতুন এই উন্নয়ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রায় ১ লক্ষ বর্গ মিটার এলাকাজুড়ে নতুন টার্মিনাল ভবনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। একেবারে অত্যাধুনিক পরিকাঠামো তৈরি হবে এই বিমানবন্দরের।আপাতত ঠিক করা হয়েছে ২০২৪ সালের গোড়ার দিকে এই বিমানবন্দর সম্প্রসারণের কাজ শুরু হবে। এরপর ২০২৬ সালের পুজোর আগে এই বিমানবন্দরের সম্প্রসারণের কাজ শেষ করা হবে।