টোল ট্যাক্স আদায়ের বিরোধিতা করতে গিয়ে নিগ্রহের শিকার হলেন ফরাক্কার তৃণমূল বিধায়ক মণিরুল ইসলাম। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ফরাক্কার কেদুয়া এলাকা। পরিস্থ🎃িতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে আসে বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুলিশ এসে বিধায়ককে সেখান থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
রবিবার দুপুর নাগাদ টোল আদায়ের বিরোধিতা করতে যান তৃণমূল বিধায়ক মণিরুল ইসলাম। তাঁর উপর হামলার অভিযোগ ওঠে। অভিযোগের তির টোলের মালিক সায়ন বিশ্বাসের বিরুদ্ধে। অনেকদিন ধরেই টোলের মালিকের বিরুদ্ধে যথেচ্ছভাবে টোল আদায়ের অভিযোগ উঠছে। অনেকেই স্থানীয় বিধায়কের কাছে এই বিষয়ে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। গত রবিবার যখন বিধায়ক ঘটনাস্থলে যান, তখন সেখানে বেশ কয়েকজন যুবক তাঁর ওপর চড়াও হয়ꦉ। কোনওক্রমে সেখান থেকে পালিয়ে বাঁচেন বিধায়ক। স্থানীয় বিধায়ক জানান, অন্যায়ভাবে এভাবে টোল আদায় করা যাবে না। টোল আদায়ের ক্ষেত্রে টোল মালিকদের এক বছরের চুক্তি থাকে। সেই চুক্তির মেয়াদ যদি শেষ হয়ে যায়, তাহলে তিনি টোল আদায় করতে পারেন না। পাশাপাশি কোন গাড়ির ক্ষেত্রে কত টাকা টোল আদায় করা যাবে, সেই তালিকা টাঙিয়ে দিতে হবে। ১০ চাকার, ১২ চাকার গাড়ি ও ১৪ চাকার গাড়িতে কত টাকা নেওয়া যাবে, সেই তালিকা টাঙিয়ে দিতে হবে। তিনি অভিযোগের সুরে জানান, এটা কংগ্রেসের প্রাক্তন বিধায়কের ইন্ধনে হয়েছে। এর পিছনে কংগ্রেস জড়িত।
একইসঙ্গে তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন, এভাবে অন্যায়ভাবে টোল আদায় করা যাবে না। একজন জনপ্রতিনিধির যে কোনও জায়গায় যাওয়ার অধিকার আছএ। যেভাবে একজন জনপ্রতিনিধির ওপর♋ হামলা চালানো হল, তাতে এই ঘটনার সঙ্গে যাঁরা জড়িত আছেন, তাঁদের সকলের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। জেলা পুলিশ প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে যাতে নতুন করে কোনও অশান্তি ছড়িয়ে না পড়ে।