বিস্ফোরণের ফলে জীবনহানি এবং দূষণ রুখতে রাজ্যে তৈরি হচ্ছে বাজি ক্লাস্টার। ইতিমধ্যেই বাজি ক্লাস্টার তৈ✱রির জমি ঠিক করে ফেলেছে রাজ্য সরকার। সেখানেই এই বাজি ক্লাস্টার তৈরি করা হবে। সেই মর্মে বাজি শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু হয়েছে। কিন্তু, সেই প্রশিক্ষণ দায়সারা বলে অভিযোগ উঠেছে। কারণ মাত্র দুদিন এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে শ্রমিকদের। সে ক্ষেত্রে পরিবেশ কর্মীদের অভিযোগ, সবুজ বাজি তৈরির মতো জটিল কাজের ক্ষেত্রে দুদিনের প্রশিক্ষণ যথেষ্ট নয়। আরও সময় দিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া উচিত।
আরও পড়ুন: 🐬কোথায় কত পরিমাণ 🌠জমির ওপর তৈরি হবে বাজি ক্লাস্টার? ঘোষণা করল রাজ্য
এর পাশাপাশি আরও অভিযোগ উঠেছে, যারা বাজি তৈরির এই প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন তারা অনেকেই বাংলা ভাষা জানেন না। এরকম অনেক শ্রমিক রয়েছেন যারা বাংলা ছাড়া অন্য কোনও ভাষা বোঝেন না। ফল﷽ে তাদের ক্ষেত্রে ভাষাগত সমস্যা হচ্ছে। তাদের প্রশিক্ষণ অসম্পূর্ণ থেকে যাচ্ছে। ঠিকমতো বাজি তৈরির কৌশল রপ্ত করতে পারছে না এই সমস্ত শ্রমিকরা। তা সত্ত্বেও তাদের সার্টিফিকেট দেওয়া হচ্ছে। রাজ্যের পরিকল্পনা রয়েছে, শ্রমিকদের দিয়ে বাজি তৈরি করানো ক্লাস্টারে। সে ক্ষেত্রে এই সমস্ত শ্রমিকদের বাজি তৈরি করালে কতটা সুরক্ষিত থাকবে? তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
প্রসঙ্গত, বাজি তৈরির প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন নাগপুরের ন্যাশনাল এনভায়রনমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউতের বিজ্ঞানীরা। এই দুদিনের প্রশিক্ষণে লাইটিং এবং স্পার্কলার নিয়ে শেখানো হচ্ছে। এই সংস্থায় সারাদেশের বাজি শ্রমিকদের দুদিনের প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। প্রথম দিন থিওরি ক্লাস হয় এবং পরের দিন হয় প্র্যাকটিক্যাল ক্লাস🔯। তাদের পাশাপাশি অগ্নি নিরাপত্তার বিষয়টি বোঝানোর জন্য থাকছেন দমকলের আধিকারিকরা।
পরিবেশ বিজ্ঞানীদের একাংশের অভিযোগ, এভাবে প্রশিক্ষণ দিলে শ্রমিকদের পক্ষে ঠিকমতো শেখা সম্ভব নয়। দূষণ এবং প্রাণহানি নিয়ন্ত্রণের জন্যই বাজি ক্লাস্টার তৈরি করা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে ঠিকমতো প্রশিক্ষণ না হলে বিস্ফোরণ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। সাধারণত ল্যাবটারিতে বেশি দুর্ঘটনা হয়। সেখানে ঠিকমতো বিভিন্ন উপাদান মেশাতে হয়। অথচ অনেক শ্রমিক রয়▨েছেন যারা স্কুলের গণ্ডি পার হননি। ফলে তাদের আরও ভালোভাবে শেখানো উচিত। যদিও বাজি ব্যবসায়ীদের মতে, দুদিনের প্রশিক্ষণই যথেষ্ট। এটাই সারা ভারতে হয়ে থাকে। ভাষাগত সমস্যা যাতে না হয় সেবিষয়েও নজর দেওয়া ꧋হয়েছে।