একটি নয়, একসঙ্গে দেখা গিয়েছে তিꦫনটি কুমির। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে নদিয়ার শান্তিপুরে পুরসভা এলাকায় ভাগীরথী নদীতে। মঙ্গলবার সকালে সেখানে তিনটি কুমির ভাসতে দেখেন মৎস্যজীবীরা। যার মধ্যে একটি কুমির ৬ থেকে ৭ ফুট লম্বা। কুমিরটি দেখার পরেই ব্যাপক আতঙ্কে রয়েছেন মৎস্যজীবী থেকে শুরু করে স্থানীয়রা। নদীতে মাছ ধরতে যেতে ভয় পাচ্ছেন মৎস্যজীবীরা। ইতিমধ্যেই স্থানীয়দের নদীতে নামতে নিষেধ করা হয়েছে। এদিন নদিয়ার শান্তিপুর পুরসভার ১৬ নম্বর ♌ওয়ার্ডের স্টিমারঘাট সংলগ্ন ভাগীরথী নদীতে কুমির দেখা যায়।
আরও পড়ুন: কাকদ্বীপের গ্রামে ঢুকে পড়েছিল ৫ ফুট লম্বা ক🐎ুমির, অবশেষে জালবন্দি করল বন দফতর
মৎস্যজীবীদের দাবি, আজ সকালে তাঁরা জাল নিয়ে নদীতে মাছ ধরতে যান। নদীর ঘাট থেকে বেশ কিছুটা দূরে মৎস্যজীবীরা মাছ ধরার জন্য জাল পাতেন। এরপরেই হঠাৎই মৎস্যজীবীরা কুমির দেখতে পান। যার মধ্যে একটি কুমিরকে তাঁরা ভাসতে দেখেনℱ। তারও কিছুক্ষণ পরে আরও বেশ কয়েকটি কুমির দেখতে পান। আরেকটি কুমির জালে আটকে যায়। তবে কোনওভাবে সেটি জাল ছিঁড়ে বেরিয়ে যায় বলে জানান মৎস্যজীবীরা। এরপরেই আতঙ্কে নৌকা ফিরিয়ে নদীর পাড়ে চলে আসেন মৎস্যজীবীরা। খবর ছড়াতেই আতঙ্ক তৈরি হয় ওই নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষের মধ্যে। যদিও কয়েক মাস আগেই ভাগীরথী নদীতে কুমিরের আতঙ্ক ছড়িয়েছিল।
মৎস্যজীবীদের দাবি, বেশ 💃কয়েকটি কুমিরের মধ্যে একটি কুমিরের আকার অনেকটাই বড়। তবে মৎস্যজীবীরা নিজেদের চোখেই কুমির দেখেছেন বলে দাবি করেছেন। ফলে ভাগীরথী নদꦐীতে কুমিরের আতঙ্কে স্নান করতে যেতে ভয় পাচ্ছেন মানুষ। এছাড়াও নৌকা নিয়ে মাছ ধরতে যাচ্ছেন না মৎস্যজীবীরা।
স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন সদস্য কৃষ্ণপদ রায় জানান, ‘প্রচুর মৎস্যজীবীরা কুমির দেখেছেন। অনেক গ্রামবাসীও কুমির দেখেছেন। তবে আমি এখনও কুমির দেখতে পাইনি। স্থানীয়দের এ বিশেষ সতর্ক করেছি। কু⛦মির দেখার পর নিশ্চিত হয়ে আমি বিষয়টি বনদফতরকে জানাবো।’ বিজয় রায় নামে প্রত্যক্ষদর্শী এক মৎস্যজীবী জানান, তিনি মাছ ধরতে যাচ্ছিলেন। সেই সময় একটি কুমির ভাসতে দেখেন। তা দেখার পরেই তিনি আতঙ্কে পুনরায় ঘাটে ফিরে আসেন। এরপর তিনি এলাকার মানুষদের সতর্ক করেন। আজ সকাল ৮টা নাগাদ তিনি ওই কুমিরটি ভাসতে দেখেন। আরও কয়েকজন মৎস্যজীবী কিছুটা দূরে গিয়ে আরও দুটি কুমির দেখতে পেয়েছেন বলে তিনি জানান। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আতঙ্কে রয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা।