রয়েছে সরকারি নিষেধাজ্ঞা। বন্ধ রয়েছে আড়ৎ। কিন্তু তার পরও দু’পয়সা বাড়তি আয়ের লোভে🤡 নিজেদের পায়ে নিজেরাই কুড়ুল মারছেন উপকূলের মৎস্যজীবীদের একাংশ। জামাইষষ্ঠীত🍎ে চড়া দামে মাছ বিক্রি করতে নিষেধাজ্ঞা ভেঙেই সাগরে মাছ ধরতে ট্রলার ভাসিয়েছেন তারা। আর সেই সব মাছ বিক্রিও হচ্ছে উপকূলের বিভিন্ন বাজারে।
আরও পড়ুন - দুর্নীতি🧸 করে টাকা দিয়ে যারা চাকরি পেয়েছে তাদের চাকরি ছাড়তেই হবে: সুকান্ত
পড়তে থাকুন - মমতার ঔদ্ধত্যেই রাজ🏅্যে থমকে বন্দর তৈরির কাজ: জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর
প্রতি বছরের মতো এবারও বর্ষার আগে ৬১ দিন সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। এই সময় সামুদ্রিক মাছ ডিম পাড়ে ও পোনাগুꩲলি বেড়ে ওঠে। ১৫ জুন পর্যন্ত রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। তারই মধ্যে এসে পড়েছে জামাইষষ্ঠী। আর এই সময় টাটকা মাছের চাহিদা ওঠে চরমে। মেলে বাড়তি দামও। আর সেই বাড়তি লাভের লোভে গত সপ্তাহ থেকেই চোরাগোপ্তা সমুদ্রে ট্রলার নিয়ে মাছ ধরতে বেরিয়ে পড়ছেন মৎস্যজীবীদের একাংশ। জামাইষষ্ঠীর আগে সেই মাছ বিক্রি হচ্ছে উপকূলেই। আড়তদারের পরোয়া না করে ন♍িজেদের মতো করেই পূর্ব মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ উপকূলে নিলাম হয়ে যাচ্ছে ট্রলার ভর্তি মাছ।
এক মৎস্যজীবী জানালেন, জা💜মাইষষ্ঠীর সময় টাটকা ভোলা, পমফ্রেটের মতো মাছের চাহিদা বেশি থাকে। তাই অনেকেই নিষেধাজ্ঞার পরোয়া না করে সমুদ্রে চলে যাচ্ছেন মাছ ধরতে। আমরা আর বসে থেকে কী করব। এমনিতেই ২ মাস ধরে কোনও আয় নেই✃। মাসে সরকারের তরফে যে ৫০০০ টাকা করে ভাতা দেওয়া হয় তাও সবাই পান না। ফলে পেটের টানে যেতেই হয়।
ওদিকে প্রশাসনের দাবি, কেউ সমুদ্রে ট্রলার নিয়ে চলে গেলে আমাদ🌳ের কিছু করার নেই। নথিভুক্ত আড়তগুলিতে যেন মাছ নিলাম না হয় সেটা দেখা প্রশাসনের কাজ। প্রশাসন সেটা করছে। কোনও নথিভুক্ত আড়তে এক কেজিও মাছ বিক্রি হয়নি।
আরও পড়ুন - অপহরণ, মারধর, হুমকিসহ একাধিক অভিযোগ, সোহমের বিরুদ্ধে আ🥀দালতে যཧাচ্ছে বিজেপি
সম��ুদ্র বিজ্ঞানীরা বলছেন, এসব করে নিজেদের পায়ে নিজেরাই কুড়ুল মারছেন মৎস্যজীবীরা। যার জেরে প্রতি বছর ভালো মানের ইলিশের পরিম𝓰াণ কমছে ভারতের জলসীমায়। পাশেই বাংলাদেশের মৎস্যজীবীরা অনেক ভালো ইলিশ পাচ্ছেন।
দিঘায় মৎস্যজীবীদের সংগঠনের সম্পাদক শ্যামসুন্দর দাস বলেন, ‘আমরা সবাইকে মাছ ধরতে যেতে বারণ করেছি। কেন নিষেধাজ্ঞা মানা দরকার তাও বুঝিয়ে বলেছি। তার পরও যারা সমুদ্রে যাচ্ছেন তাদ♊ের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলব।’