ডিভিসি নিয়ন্ত্রিত বাঁধ থেকে লক্ষ লক্ষ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। তার ফলে এক বড় বিপর্যয় ঘটেছে। যা অতীতে কখনও দেখা যায়নি। দক্ষিণবঙ্গের বানভাসী পরিস্থিতি নিয়ে ডিভিসিকে দায়ী করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে দুটি চিঠি লিখে নালিশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী গোটা দক্ষিণবঙ্গ কার্যত জলের তলায় দেখে মুখ্যমন্ত্রী দুর্গাপুরে অশান্ত ড্যামের উত্তাল জলরাশির দিকে তাকিয়ে প্রণাম করেছেন কদিন আগে🎶। প্রকৃতিকে শান্ত হতে মিনতি করছেন বলে অনেকে মনে করেন। কিন্তু তারপরও আকাশ কালো করে বৃষ্টি হয়েছে। তার উপর রয়েছে বাঁধগুলি থেকে ছাড়া হচ্ছে বিপুল জলরাশি। এই আবহে আজ, শুক্রবার দামোদরের দুর্গাপুর ব্যারেজে থেকে বিপুল জল ছাড়া হল।
এদিকে রাজ্যের সম্মতি ছাড়া জল ছেড়ে দেওয়া হয় বলে দাবি মুখ্যমন্ত্রীর। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি ছিল, এটা ম্যান মেড বন্যা। যা ২০০৯ সালের পর থেকে নিম্ন দামোদরে সবচেয়ে ভয়াবহ এবং বাংলার প্রায় ৫০ লক্ষ মানুষের জীবনকে প্রভাবিত করেছে। সেই দাবি নিয়ে বিতর্ক থাকতেই পারে। তবে তার মধ্যেই আজ মাইথন ড্যাম ৬ হাজার কিউসেক জ🧜ল ছাড়ল। সুতরাং বন্যা পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। এমনকী এখন এই বানভাসী পরিস্থিতিতে বাংলার কৃষকদের ফসল ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তার জেরে বাজারে এখন সবজির দর আগুন। সামনে দুর্গাপুজো। তার আগে গ্রামবাংলার সমূহ ক্ষতি হয়ে গেল।
আরও পড়ুন: বারুইপুরের কোচিং সেন্টারে খুনের হুমকি, নাবালিকা ছাত্রীকে ‘ধর্ষণ’! গ্রেফতার শিক্ষক
অন্যদিকে আজ শুধু দুর্গাপুর ব্যারেজ নয়, পাঞ্চেত জলাধারও ২০ হাজার কিউসেক জল ছাড়ল। সুতরাং গ্রামবাংলার এখন প্রচণ্ড খারাপ অবস্থা হল। এখন ডিভিসি থেকে রাজ্য সরকারের প্রতিনিধি তুলে নেওয়া হꦛয়েছে। সেক্ষেত্রে ডওিভিসির এই জল ছাড়া রাজ্যকে না জানিয়েই বলে মনে করা হচ্ছে। আর তা যদি হয় তাহলে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে সিলমোহর পড়বে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা নাগাদ দামোদরের দুর্গাপুর ব্যারেজে থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ ছিল—লেফ্ট ব্যাংক মেইন ক্যানাল থেকে ৬০০ কিউসেক। রাইট ব্যাংক মেইন ক্যানাল থেকে ২০০ কিউসেক। তাই পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করছে গ্রামবাংলায়।