রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের দৈনন্দিন বুলেটিন দেখলে বোঝা যায়, আগে থেকে বেশ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আনা গিয়েছে হাওড়ার করোনা পরিস্থ🦩িতি। ঠিক এক মাস আগে, ২৯ জুলাইয়ের বুলেটিনে দেখা যাবে, ওদিন হাওড়ায় নতুন ২৫৮ জন করোনা রোগীর সন্ধান মিলেছিল। আর শুক্রবার, ২৮ অগস্ট নতুন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা মাত্র ৯২। আগে থেক🍒ে অনেকটা নিশ্চিন্ত হাওড়ার বাসিন্দাদের দাবি, এই পরিবর্তন এসেছে পুলিশ, প্রশাসন ও পুরনিগমের যৌথ প্রচেষ্টায়।
আর এবার গোষ্ঠী সং🤡ক্রমণ রোধ করতে এবং করোনা রোগীদের সন্ধানে ফের সক্রিয় ভূমিকায় হাওড়া পুরনিগম। কলকাতা পুরসভার মতো হাওড়া পুর এলাকার বিভিন্ন আবাসন, হাউসিং কমপ্লেক্সে করোনা নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু করা হল। শুক্রবার পুর কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এলাকার বিভিন্ন হাউসিং কমপ্লেক্স, বহুতল আবাসনের বাসিন্দাদের জন্য বিনামূল্যে র্যাপিড অ্যান্টিজেন🧸 টেস্টের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই পরিষেবা পেতে সংশ্লিষ্ট আবাসন কর্তৃপক্ষকে এই নম্বর দুটিতে ফোন বা হোয়াটসঅ্যাপ করে বুকিং করাতে হবে— ৬২৯২২৩২৮৭০ এবং ৬২৯২২৩২৮৭১। পরীক্ষা করানোর জন্য কমপক্ষে ৫০ জন থাকা বাধ্যতামূলক। ব্যবস্থা রাখতে হবে বেশ কিছুটা খালি জায়গার।
একইসঙ্গে পুরনিগমে🍰র তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ১ সেপ্টেম্বর থেকে শহরের ৩টি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সকাল সাড়ে ১১টা থেকে দুপর দেড়টা পর্যন্ত বিনামূল্যে করোনা পরীক্ষা করানো যাবে। স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলি হল — ইউপিএইচসি ২ (১৫ নম্বর ওয়ার্ডের ১৮ জেলিয়াপাড়া লেন, ঘোড়া ঘাটালের কাছে), ইউপিএইচসি ৮ (২৪ নম্বর ওয়ার্ডে হরিজন বস্তির কাছে ৮২/২ এন এস দত্ত রোড) এবং এউপিএইচসি ১২ (৫৮ নম্বর ওয়ার্ডের ৫৮ রাজেন শেঠ লেন, বেলুড়)।
এদিকে, আজ, শনিবার হাওড়া পꦚুরনিগমের ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডে বাঁকসাড়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কাছে বিমলা ভবনে বিনামূ🦹ল্যে র্যাপিড টেস্ট করানো হচ্ছে। রবিবার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের ১৮ জেলিয়াপাড়া লেন এবং সোমবার বেলগাছিয়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কাছে ছাত্রদল ক্লাবে র্যাপিড টেস্টিং ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়েছে। এই ৩ দিনই পরিষেবা পাওয়া যাবে সকাল সাড়ে ১১টা থেকে দুপর দেড়টা পর্যন্ত।