গঙ্গাসাগর মেলা এখন দেরি আছে। সম্প্রতি সাগরের মাটিতে ভাঙন দেখা দিয়েছ༒ে। তাই প্রস্তুতি নিয়ে কাকদ্বীপ মহকুমা প্রশাসন ভবনে বৈঠক সারলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা, জেলা সভাধিপতি নীলিমা মিস্ত্রি, সহ–সভাধিপতি শ্রীমন্ত মালি, সুন্দরবনে🧸র পুলিশ সুপার কোটেশ্বর রাও নলাভাট। কপিলমুনির আশ্রমের কাছে এবার ভাঙন দেখা দিয়েছে। তাই মেলা যাতে সঠিকভাবে হয় তার জন্য সেচ, পূর্ত, বিদ্যুৎ, দমকল, স্বাস্থ্য, পরিবহণ দফতরের অফিসার ও ইঞ্জিনিয়াররাও উপস্থিত ছিলেন। সবাইকে দ্রুত পরিকল্পনা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন জেলাশাসক।
এদিকে এই বৈঠকে কপিলমুনি আশ্রমের সামনে ভাঙন রোধ থেকে শুরু করে মুড়িগঙ্গা নদীর ড্রেজিংয়ের উপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। সেচ দফতরের অফিসারদের এই নিয়ে দ্রুত পরিকল্পনার নির্দেশ দিয়েছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা। কারণ এখানে লক্ষ লক্ষ ﷽পুণ্যার্থীর ভিড় হয়। সেখানে কোনও অঘটন কাম্য নয় বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। গঙ্গাসাগরের টেল🦂ি পরিষেবা প্রত্যেকবারই ভেঙে পড়ে। এবার তাই বিভিন্ন টেলিকম সংস্থাকে সঠিক পরিষেবা প্রদানের জন্য অতিরিক্ত পরিকাঠামো তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঠিক কী বলেছেন জেলাশাসক? অন্যদিকে বৈঠক শেষে জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা সাংবাদিকদের বলেন, ‘২০২৪ সালের সাগর মেলার প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠক হয়েছে। সেখানে উপকূলে ভাঙন রোধ, বুড়িগঙ্গা নদীতে ড্রেজিং এবং মেলা চলাকালীন টেলিকম ব্যবস্থা সচল রাখার উপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। প্ಞরত্যেক দফতরকে পরিকল্পনার রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। এখন রেকর্ড ভিড় হচ্ছে গঙ্গাসাগর মেলায়।’ আর সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা বলেন, ‘বিগত বছরগুলির অভিজ্ঞতা থেকেই এই বছরও পরিকল্পনার প্রস্তুতি শুরু করা হল।’ আগামী শনিবার পর্যন্ত কাকদ্বীপ ও সাগরের কচুবেড়িয়ার মধ্যে চলাচলকারী বার্জ বন্ধ রাখার নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তবে সাধারণ যাত্রী ভেসেল পরিষেবা চলবে।
আরও পড়ুন: এবার ফুচকা বিক্রেতারা ঋণ👍 নিতে পারবেন, দুয়ারে সরকারে থাকছে ব্যবস্থা দাবি মন্ত্রীর
আর কী জানা যাচ্ছে? ইতিমধ্যেই গঙ্গাসাগর নিয়ে একটি মাস্টারপ্ল্যান করা হচ্ছে। যাতে এখানে পুণ্যার্থীরা এসে সমস্যায় না পড়েন। এই বিষয়ে জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা বলেন, ‘প্রশাসনের অফি🍬সার এবং সেচ দফতরের অফিসাররা গোটা বিষয়টি দেখেছেন। সুন্দরবন পুলিশকেও সতর্ক করা হয়েছে। প্রত্যেকটা ব্লক ও পঞ্চায়েতে সিভিল ডিফেন্সের টিম মোতায়েন রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। উপকূলবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের স্থানান্তরিত করার জ♎ন্য সাইক্লোন শেল্টারগুলি খোলা হয়েছে। শুকনো খাবারও মজুদ করা হয়েছে।’