ডাকাতির ছক এবার বানচাল করে দিল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশ। ঘাট🌞াল থেকে মোট ১৩ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। কলকাতা পুলিশের এসটিএফ এই ডাকাতি নিয়ে জেলা পুলিশকে তথ্য দিয়েছিল। সেই তথ্যের উপর ভিত্তি করে ডাকাতদের গ্রেফতার করল জেলা পুলিশ। আর ওই ডাকাতদের কাছ থেকে প্রচুর পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এই ডাকাতদলের সঙ্গে আর কারা যুক্ত আছে সেটা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ঘাটাল পুলিশের জালে যারা ধরা পড়েছে তারা ভিন রাজ্যের দুষ্কৃতী। ঘাটাল থানার আলুই গ্রামের একটি ঘর থেকে ১৩ জন যুবককে গ্রেফতার করেছে ঘাটাল থানার পুলিশ।
এদিকে ওই দুষ্কৃতীদের কাছ থেকে ৩টি বন্দুক, ১০টি কার্তুজ, ছুরি, গ্যাস কাটার উদ্ধার করা হয়েছে। ওই ১৩ জনের প্রত্যেককেই আজ, সোমবার ঘাটাল মহকুমা আদালতে তোলা হবে। এই বিষয়ে রবিবার রাতে সাংবাদিক বৈঠক করে পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার ধৃতিমান স꧂রকার জানান, ১৩ জন দুষ্কৃতীর মধ্যে ছ’জন বিহারের জামুই এবং বাকি সাতজন ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা। ডাকাতি ও গাড়ি ছিনতাইয়ের ছক করে ভিন রাজ্যের কয়েকজন দুষ্কৃতী পশ্চিম মেদিনীপুরে আসে। এই খবর আগাম দিয়ে জেলা পুলিশকে সতর্ক করেছিল কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স। তখনই তল্লাশি শুরু হয়। রবিবার ঘাটাল এবং চন্দ্রকোনা থানার মাঝে আলুই গ্রাম থেকে ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
আরও পড়ুন: লক্ষ্যপূরণ কঠিন হয়ে পড়ছে, নববধূকে বিজেপির সদস্য করলেন শমীক, বিয়েবাড়িতে মিসড কল
অন্যদিকে ঘাটালের একটি সারের দোকানে ও চন্দ্রকোনার একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে ডাকাতি করার ছক কষে ছিল ওই ডাকাতদল। এই দলটি এসব কাজই করে থাকে। এমনকী রেইকি পর্যন্ত করা হয়েছিল বলে পুলিশের জেরায় স্বীকার করেছে ধৃতরা। আলুই গ্রামের বাড়ি মালিককে প্রথমে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তার পরই একটি ঘরে ঘাঁটি গেড়ে থাকা আরও ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়। কিছুদিন ধরে ♈বেশি রাতে ওই দুষ্কৃতীরা দামি গাড়ি নিয়ে ওই বাড়িতে আসা যাওয়া করত বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। ওই বাড়িতে আগে থেকেই ঝাড়খণ্ডের এক যুবক থাকত। ওই যুবকের কাছেই আসতো বাকিরা।