এবার বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার ꧋করা হল এক গৃহবধূকে ধর্ষণ করার অভিযোগে। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। ওই গৃহবধূকে রাতের অন্ধকারে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার কর𝐆া হয়েছে বিজেপি কর্মীকে। উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ায় এখন এই ঘটনা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। এই বিজেপি কর্মী কাণ্ডে এখন তেতে উঠেছে স্থানীয় মানুষজন। এই ঘটনা নিয়ে বড় আন্দোলন হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই বিজেপি কর্মী আগে থেকে রেইকি করে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত বিজেপি কর্মীর নাম বিজয় মালাকার (৩১)। ধৃত বিজেপি কর্মীকে আজ সোমবার আদালতে তোলা হয়। হাবড়া থানার গোয়ালবাটি এলাকায় এই বিজেপি কর্মী গৃহবধূকে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ জমা পড়েছে। নির্যাতিতা বধূ এবং অভিযুক্ত বিজেপি কর্মী একই এলাকার বাসিন্দা। কদিন ধরেই এই বিজেপি কর্মী বিজয় মালাকার ওই গৃহবধূকে বিরক্ত করত বলে অভিযোগ উঠেছে। এমনকী বেশ কয়েকবার তাঁক🍬ে কুপ্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে। তার জেরে যথেষ্ট ভীত থাকতেন ওই গৃহবধূ। কিন্তু গত ১১ তারিখ রাতে ওই গৃহবধূ যখন শৌচালয় যাচ্ছিলেন তখন বিজেপি কর্মী ওই বাড়ির বাইরে গিয়ে ওত পেতে ছিল বলে অভিযোগ। তখন ওই বিজয় মালাকার ওই বাড়ির আশপাশেই ছিল।
আরও পড়ুন: বিজেপি শাসিত রাজ্যে স্বশাসিত সংসদের নির্বাচনে প্রার্থী তৃণমূলের, জোর লড়াই অসমে
স্থানীয় সূত্রে খবর, রাতের অন্ধকারে ওই বধূকে দেখতে পেয়ে বিজেপি কর্মী বিজয় জোর করে জাপটে ধরে মুখবন্ধ করে। তারপর ওখানেই তাকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনার কথা প্রথমে কাউকে বলতে পারেননি ওই বধূ। কারণ তাঁকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। কিন্তু শরীর খারাপ হতে থাকায় নির্যাতিতা বধূ পরিবারের সদস্যদের আসল ঘটনা বলতে বাধ্য হন। তখনই তা এলাকাতেও ছড়িয়ে পড়ে। রবিবার হাবড়া থানায় গিয়ে ওই অভিযুক্ত বিজেপি কর্মী বিজয় মালাকারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা বধূ। তখনই পুলিশ ওই অভিযুক্তকে গ্𒊎রেফতার করে। আজ সোমবার ধৃতকে বারাসত আদালতে তোলা হয়।
যদিও বিজেপি কর্মী বিজয় মালাকারের দাবি, তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। বিজেপি কর্মী গ্রেফতারের ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। এই বিষয়ে হাবড়া পুরসভার চেয়ারম্যান নারায়ণ সাহা বলেন, ‘হাবড়া থানায় লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত বিজেপি কর্মী গ্রেফতার হয়েছেন। আইন আইনের পথে চলবে।’ পাল্টা বিজেপি নেতা বিপ্লব হালদারের বক্তব্য, ‘যদি বিজয় মালাকার দোষী হয় তাহলে আইন আইনের পথে চলবে। সঠিক ☂তদন্তের দাবি করছি।’ ওই নির্যাতিতা꧂ বধূর মেডিক্যাল পরীক্ষাও হয়েছে বলে খবর।