এই ছিল, এই নেই। এমনই ঘটনা ঘটেছে হরিণঘাটা পুরসভায়। পুরপ্রধান আর উপ–পুরপ্রধান পদে এমন ঘটনা ঘটেছে। যা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে বাসিন্দাদের মধ্যে। কারণ শেষ মুহূর্তে বদলে গিয়েছে হরিণঘাটার পুরপ্রধানের নাম। এখানের নবগঠিত পুরবোর্ডের প্রথম বৈঠকে পুরপ্রধান নির্বাচিত হলেন প্রাক্তন মুখ্য পুরপ্রশাসক দেবাশিস বসু। আর উপ–পুরপ্রধান হলেন প্রাক্তন উপ-পুরপ্রশাসক সঞ্জীব রাম। তবে প্রাক্তন পুরপ্রধান রাজীব দালাল দুটি পদের কোনওটিতেই রইলেন না।বিষয়টি ঠিক কেমন ঘটল? তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর, এখানে পুরপ্রধানের পদ নিয়ে একটা টানাপোড়েন চলছিল। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশ আসে, বিগত পুর প্রশাসন পর্ষদের মুখ্য এবং উপ–প্রশাসকই যথাক্রমে পুরপ্রধান এবং উপ–পুরপ্রধান হবেন। এই সিদ্ধান্তের আগে রাজ্য নেতৃত্ব জানিয়েছিল, পুরপ্রধান হিসেবে সঞ্জীব রাম এবং উপ–পুরপ্রধান পদে রাজীব দালাল থাকছেন। যেখানে বিগত পুরবোর্ডে সঞ্জীব রাম উপ–পুরপ্রধান ছিলেন। কিন্তু তারপর সব বদলে গেল। কেন এমন রাতারাতি বদল ঘটল? দলীয় সূত্রে খবর, গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সামাল দিতেই এই বদল ঘটানো হয়েছে। হরিণঘাটায় তৃণমূল কংগ্রেসের দু’টি গোষ্ঠী সক্রিয়। একটি গোষ্ঠী— দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলা সভানেত্রী রত্না ঘোষের। আর দ্বিতীয় গোষ্ঠী— হরিণঘাটা ব্লক সভাপতি চঞ্চল দেবনাথের। এই দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্বে কাজে প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করে এমন বদল ঘটানো হয়েছে।যদিও এই বিষয়ে পুরপ্রধান হিসাবে শপথ নেওয়ার পর দেবাশিস বসু বলেন, ‘আগে রাজ্য নেতৃত্ব অন্য কারও নাম পাঠিয়েছিল কি না তা আমাদের জানা নেই।’ তবে রত্না ঘনিষ্ঠ নেতা উত্তম সাহা বলেন, ‘রবিবার রাতে আমাদের কাছে খবর আসে, পুরপ্রধান ও উপ–পুরপ্রধান পরিবর্তন করা হল।’ এথন এই এলাকার চায়ের দোকান থেকে বাজার—সর্বত্রই এই আলোচনাই চলছে।