রাজ্যে ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া, চিকুনগুনিয়া নিয়ে উদ্বেগ চলছে। তারই মধ্যে বুধবার কলকাতার হাসপাতালে কালাজ্বরে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে এক ব্যক্তির। এটি হল এ বছর কালাজ্বরে আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা। এই মৃত্যুর পরেই কালাজ্বর ঠেকাতে তৎপর হল প্রশাসন। স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জেলাগুলিকে পাঠানো হল সতর্কবার্তা। প্রতিটি জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের এ 𝓰বিষয়ে বাড়তি নজরদারির ⛦নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।
আরও পড়ুন: কালাজ্বর মুক্ত জেলা ঘোষণার উদ্য়োগ,পরিস্থিতি 💦খতিয়ে দেখতে পূর্ব বর্ধমানে WHO
বহু বছর আগে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক কালাজ্বর নির্মূলে বিশেষ কর্মসূচি নিয়েছিল। সেই সেই কর্মসূচিতে নির্ধারিত নির্দেশিকাগুলিকে অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে বলা হয়েছে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের। কালাজ্বরে কেউ আক্রান্ত হলে তাঁকে যেন প্রটোকল অনুযায়ী চিকিৎসা করানো হয় সে বিষয়ে মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।সাধারণত দার্জিল♎িং, কালিম্পং, মালদা, উত্তর দিনাজপুর এবং দক্ষিণ দিনাজপুরে কালাজ্বরে আক্রান্ত বেশি হয়ে থাকে। তাই এই সমস্ত জেলাগুলির মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের এ বিষয়ে বিশেষ নজরদারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে।
স্বাস্থ্য দফতর সুত্রের খবর, রাজ্যে অগস্ট পর্যন্ত কালাজ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন ১০ জন। যার মধ্যে মালদহের হাবিবপুরে কালাজ্বরে আক্রান্তের সংখ✱্যা সবচেয়ে বেশি। তবে কলকাতায় এখনও পর্যন্ত আক্রান্তের কোনও খবর নেই। বুধবার যে ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে তার নাম অবদেশ পাসওয়ান। তিনি বিহারের বাসিন্দা। হাওড়ায় তাঁর শ্বশুরবাড়িতে গিয়েছিলেন। সেখানে জ্বর নিয়ে প্রথমে হাওড়া জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু, তাঁর অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরের দিন তাঁকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। তখন পরীক্ষার পর কলকাতার হাসপাতালে কালাজ্বরের সংক্রমণ ধরা পড়ে। তারপরে রোগীকে স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তিনি মারা যান।
তবে কালাজ্বরের ভালো ওষুধ সরকারের কাছে থাকায় এতে মৃত্যুর ঘটনা খুব একটা দেখা যায় না। কিন্তু, শ๊নাক্তকরণ এবং চিকিৎসা শুরু দেরি হলে সংক্রমণ অত্যন্ত মারাত্মক হতে পারে। দেশের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ঝাড়খণ্ড এবং উত্তরপ্রদেশেকে কালাজ্বর প্রবণ এলাকা হিসেবেই ধরা হয়। এই রাজ্যগুলির ৫৪টি জেলায় কালাজ্বরে আক্রাꦛন্ত সবচেয়ে বেশি হয়। ন্যাশনাল ভেক্টর বর্ন ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রামের অধীনে ২০ বছরে আগে দেশে কালাজ্বর নির্মূল কর্মসূচি শুরু করা হয়েছিল। গত বছর বাংলায় কালাজ্বরে আক্রান্ত হয়েছিল ৫৭ জন। সেই তুলনায় এবছরের সংখ্যাটা অনেক কম। তবে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। এবছর প্রথম মৃত্যুর পরেই তৎপর হল প্রশাসন।