বর্তমানে কোভিড পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আগেই আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য রাজ্যজুড়ে কয়েক হাজার সেফ হোম তৈরি করেছিল রাজ্য। সেইসঙ্গে চালু করা হয়েছিল কোভিড হাসপাতাল। তবে বর্তমানে করোনার প্রকোপ কমে যাওয়ায় এই সমস্ত কোভিড হাসপাতাল এবং সেফহোমগুলিকে বন্ধের সিদ্ধান্ত নিল স্বাস্থ্য ভবন।ইতিমধ্যেই প্রতিটি জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিকদের এই মর্মে নির্দেশিকা পাঠিয়ে দিয়েছে স্বাস্থ্য ভবন। স্বাস্থ্য ভবনের আধিকারিকরা মনে করছেন, কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার পর সংক্রমণ হু হু করে বাড়ছিল রাজ্যে। একসময় সেই সংক্রমণ দৈনিক ২০,০০০-এর কাছাকাছি চলে গিয়েছিল। দুর্গাপুজোর পর দৈনিক সংক্রমণের হার কিছুটা বাড়লেও তারপরে আস্তে আস্তে কমতে শুরু করেছে করোনার দৈনিক সংক্রমণ। বর্তমানে কোভিডের পজিটিভিটি রেট অনেকটাই কম। তাছাড়া দৈনিক সংক্রমণ এখন স্থিতিশীল রয়েছে। ফলে হাসপাতালগুলিতে এবং সেফহোমগুলিচে ভিড় কমছে করোনা রোগীদের। সেই কারণে স্বাস্থ্য ভবন মনে করছে যে রাজ্যজুড়ে এতগুলি সেফ হোম বা কোভিড হাসপাতালের প্রয়োজন নেই।স্বাস্থ্য দফতরের তরফের নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, জেলাপিছু একটি বা দু’টি কোভিড হাসপাতাল বা ওয়ার্ড চালু রাখা হবে। বাকিগুলি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। এছাড়াও করোনার বাড়বাড়ন্তের সময় আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য অসংখ্য চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগ করেছিল স্বাস্থ্য দফতর। তবে বর্তমানে করোনা সংক্রমণ কমে যাওয়ায় সেই সমস্ত কর্মীদেরও বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।