খাদ্যরসিক বাঙালির মুখের হাসি কি আরও চওড়া হতে চলেছে? এই প্রশ্ন এখন ঘুরপাক খাচ্ছে মৎস্যজীবী𝓡 থেকে বাজারের মাছ বিক্রেতাদের মধ্যে। কারণ মৎস্যজীবীদের জালে এখন ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ উঠতে শুরু করেছে। সেটা কাকদ্বীপ, সাগর, নামখানা, ডায়মন্ডহারবার থেকে শুরু করে দিঘা মোহনা সর্বত্রই একই ছবি দেখা যাচ্ছে। মাছ ধরার মরশুমের শুরুতেই সাফল্য এসেছে। এত ইলিশ ধরা পড়ায় গোটা মরশুমের জন্যই আশার আলো দেখছেন মৎস্যজীবীরা। কারণ মৎস্যজীবীরা জালবন্দি করেছেন প্রচুর ইলিশ। সমুদ্র থেকে ট্রলারে করে টন টন ইলিশ এসেছে মৎস্যবন্দরগুলিতে। তাই এখন খুশির হাওয়া বইছে।
এবার রেকর্ড পরিমাণ ইলিশ এল বাজাꦍরে। নামখানায় দুশোর বেশি ট্রলার এল দু’হাজার কেজি ইলিশ মাছ। এই মাছ কাকদ্বীপ হয়ে পৌঁছে গিয়েছে। চলতি বছরে এখন মাছ ধরার এক মাস পূর্ণ হল। এই বিষয়ে মৎস্যজীবীদের দাবি, এখনও পর্যন্ত বাজারে এসেছে দু’হাজার টন ইলিশ মাছ। ইলিশ শিকারে গভীর সমুদ্রে পাড়ি দিয়েছিল প্রায় আড়াই হাজার ট্রলার। প্রথমে ৪০০ টন ইলিশ ঢোকে। রবিবার এসেছে আরও প্রায় ২০০ টন ইলিশ। কিন্তু এখানে একটা সমস্যা দেখা দিয়েছে। সেটি হল—মোহানার মিষ্টি জলের ইলিশ এখনও𒈔 মেলেনি। তাই ধরা পড়া ইলিশ স্বাদে এবং আকৃতিতে মিঠে জলের ইলিশের তুলনায় অনেকটাই হতাশ করেছে বাঙালিকে।
এদিকে যেভাবে কয়েকদিন ধরে মাছ ঢুকছে ডায়মন্ডহারবারে, তাতে শহর–শহরতলির বাজারে সস্তায় মেলার কথা। কিন্তু খাদ্যরসিক বাঙালি অভিযোগ তুলছেন, যতটা সস্তা বলা হচ্ছে অতটা সস্তায় মিলছে না রূপোলি ফসল। মিঠে জলের ই🔜লিশের সংখ্যা অনেকটাই কম। তাই দেখা যাচ্ছে, এই ইলিশগুলি গোলগাল দেখতে না হয়ে একটু লম্বাটে আকারের দেখতে। স্বাদেও তেমন চমক দিতে পারছে না ইলিশ মাছ। তবে হতাশ হবার দরকার নেই। কারণ মৎস্যজীবীরা আগামী কয়েকদিনেই মিঠে জলের ইলিশ পাবেন বলে আশায় করছেন। এইসব ইলিশ যা এখন বা🧸জারে পাওয়া যাচ্ছে সেগুলির দাম বড় হলে ১২০০ টাকা ছোট হলে ৮০০ টাকা। সবটাই ওজনের উপর নির্ভর করে দাম ঠিক করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: এবার পুরকর্তাদের তলব করতে চলেছে সিবিআই, পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির জ🌃ের
ঠিক কী বলছে সমিতি? অন্যদিকে কাকদ্বীপ মৎস্যজীবী উন্নয়ন সমিতির সম্পাদক বিজন মাইতির কথায়, ‘জলের স্রোত বাংলাদেশ থেকে ভারতের দিকে বয়ে চলেছে। তাতে ইলিশের ঝাঁক এদিকে বেশি আসছে। বৃষ্টিও ভাল হচ্ছে। সঙ্গে বইছে পুবালি বাতাস। সব মিলিয়ে অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয়েছে এখন ইলিশ ধরার ক্ষেত্রে। তবে আরও বেশি পরিমাণ মাছꦕ উঠবে। এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে আগামী কয়েকদিনে আরও ইলিশ জালে বন্দি হবে বলে মনে করছেন মৎস্যজীবীরা। যা আগামী ৩–৪ বছর ধরে চলা ইলিশের খরা কাটাতে সক্ষম হবে।’