সকালের টেলিফোনে পৌঁছেছিল খবরটা। নেই তাপস পাল। সেই থেকে শোকে ডুবেছে চন্দননগরের সরষেপাড়া। চোখের কোণে জল অভিনেতা – সাংসদের বন্ধু বাবু পালের। সহপাঠী তাপসের মুম্বইতে মৃত্যু হয়েছে, সকালে ফোনটা এসেছিল তাঁর কাছেই।তাপসপালের বাবা গজেন্দ্রচন্দ্র পাল ছিলেন চিকিৎসক। তিন বোনের এক ভাই তাপস বড় হয়েছেন আদরেই। পড়েছেন কাছে কানাইলাল বিদ্যামন্দিরে। সেই থেকেই তাঁর নিত্যসঙ্গী ছিলেন বাবু পাল। স্কুল পেরিয়ে কলেজ, সেখানেও বন্ধুবিচ্ছেদ হয়নি। হুগলি মহসিন কলেজ থেকে জীববিদ্যায় স্নাতক হন তাপস। এর পর চলে আসেন চলচ্চিত্র জগতে।ছবির দুনিয়ায় ব্যস্ত তাপসের নিয়মিত যাতায়াত ছিল চন্দননগরে। তবে বাবার মৃত্যুর পর বোনেদের সঙ্গে সম্পত্তি বিবাদের জেরে সেই মায়া কাটান তিনি। তবে মাঝে মাঝে বাল্যবন্ধুর বাড়িতে আড্ডা দিতে পৌঁছে যেতেন ঠিক।বাবু পাল জানালেন, ‘কয়েকদিন আগে কথা হয়েছিল ওর সঙ্গে। বলছিল, মাস কয়েকের মধ্যে সুস্থ হয়ে কলকাতায় ফিরবে। ফের শুরু করবে অভিনয়।’ জানালেন, দাদার কীর্তির কেদারের মতো সাদামাঠা মনের একটা মানুষ ছিলেন তাপস। অসৎ লোকের সঙ্গে পড়ে শেষ জীবনে দুর্নামের ভাগী হতে হয়েছে তাঁকে।