বীরভূমের গৃহবধূর সঙ্গে ফোনে আলাপ হয়েছিল দক্ཧষিণ ২৪ পরগনার কুলপির যুবকের। ক্রমেই ঘনিষ্ঠ হয় তাদের সম্পর্ক। তারপরেই প্রেম। আর সেই প্রেমের টানেই স্বামীর সংসার ছেড়ে যুবকের সঙ্গে পালিয়ে বিয়ে করলেন গৃহবধূ। এরই জেরে গৃহবধূর স্বামী ও বাপের বাড়ির লোকজন চড়াও হলেন যুবকের বাড়িতে। ঘটনায় উভয় পক্ষের হাতাহাতিতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। ঘটনায় মোট ১৯ জনকে গ্রেফতার করে কুলপি থানার পুলিশ।
জানা গিয়েছে, বীরভূমের পাণ্ডবেশ্বরের বাসীন্দা সুজাতা রায়ের💜 সঙ্গে ফোনে আলাপ হয় কাকদ্বীপের যুবক শুভঙ্কর মণ্ডলের। এরপরে তাদের সম্পর্ক গড়ায় প্রেমে। যার জেরে গত দেড় মাস আগে গৃহবধূ সুজাতা রায় পাণ্ডবেশ্বর থেকে পালিয়ে এসে শুভঙ্কর মণ্ডলকে বিয়ে করেন। প্রথমের🍌 দিকে সবকিছু ঠিকঠাকই ছিল। এরপরেই ঘটে বিপত্তি। অনেক খোঁজাখুঁজির পর সুজাতা রায়ের বাপের বাড়ি ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন জানতে পারেন তিনি কুলপি থানার নিশ্চিন্তপুরের অশ্বত্থতলায় শুভঙ্কর মণ্ডলের মামার বাড়িতে রয়েছেন।
খবর পেয়ে অশ্বত্থতলায় শুভঙ্করের মামার বাড়িতে গিয়ে চড়াও হয় গৃহবধূর বাপের বাড়ি ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন। শুভঙ্কর মণ্ডলের পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, সুজাতার বাপের বাড়ি ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন শুভঙ্করের মামার বাড়ির ঘরের 🍌দরজা ভেঙে মেয়েকে নিয়ে যাওয়ার জন্য বাড়ির ভেতর ঢুকে পড়ে। এরপর বাড়ির বৃদ্ধ মহিলা সহ শুভঙ্করের বাবা–মা এবং বোনকে মারধর করে। অভিযোগ তাদের লাথি মেরে ফেলে দেওয়া হয়। এরই জেরে শুভঙ্করের অন্তঃসত্ত্বা বোন অসুস্থ হয়ে পড়েন। ঘটনার পরে গ্রামের মানুষজন শুভঙ্করের অসুস্থ অন্তঃসত্ত্বা বোনকে উদ্ধার করে কুলপির বেলপুকুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। অন্যদিকে, ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান কুলপি থানার পুলিশ। পাশাপাশি, ঘটনায় যুবক শুভঙ্কর মণ্ডল সহ মোট ১৯ জনকে গ্রেফতার করে কুলপি থানার পুলিশ। ধৃতদের আজ ডায়মন্ড হারবার এসিজেএম আদালতে পেশ করা হয়। ত্রিকোণ প্রেমের জেরে এমন ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে কুলপির অশ্বত্থতলা এলাকায়।