লাফিয়ে বাড়ছে অনলাইন স্ক্যাম। বোকা বানিয়ে ব্যাঙ্ক থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে। স্ক্যামাররা মানুষকে টার্গেট করার জন্য নতুন নতুন পদ্ধতি অবলম্বন করছেন। এমনই, এক নতুন ধরনের স্ক্যাম নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। এর নাম ডিজিটাল অ্যারꦐেস্ট।
সম্প্রতি হায়দরাবাদ থেকে ডি💦জিটাল অ্যারেস্ট-এর ঘটনাও সামনে এসেছে। যদিও এবার এই কেলেঙ্কারিতে সফল হতে পারেননি প্রতারকরা। এর কারণ হ♎ল ব্যাঙ্কের কর্মীরা ইতিমধ্যেই এই কেলেঙ্কারীর হাত থেকে অসহায় প্রবীণ নাগরিককে বাঁচিয়ে নিয়েছিলেন। সবচেয়ে বড় ব্যাপার এটা যে কেলেঙ্কারীটা সফল হলে, ওই ব্যক্তি ১৩ লক্ষ টাকা হারাতে পারতেন।
পুরো ব্যাপারটা কী
আౠসলে, এদিন স্ক্যামাররা একটি ৬১ বছর বয়সী এক শিশুরোগ বিশেষজ্ঞকে টার্গেট করে বসেছিলেন। স্টেট ব্যাঙ্কের দীর্ঘদিনের গ্রাহক ছিলেন তিনি। স্ক্যামাররা মিথ্যা দাবি করেছিল যে তাঁকে 'ডিজিটাল অ্যারেস্ট' করা হ🎃য়েছে এবং তিনি এ সম্পর্কে কাউকে যাতে না বলেন। এই বিপত্তিতে থেকে রেহাই পেতে দিতে হবে ১৩ লক্ষ টাকা। এমনই হুমকি আতঙ্কিত গ্রাহক তাঁর ফিক্সড ডিপোজিট ভেঙ্গে ১৩ লক্ষ টাকা তোলার জন্য ব্যাঙ্কে যোগাযোগ করেন।
গ্রাহকের মানসিক চাপ দেখে, হঠাৎ এত টাকা তোলཧার বিষয়ে ওই ব্যাঙ্কের একজন কর্মকর্তার মনে সন্দেহ জাগে। তিনি তাঁকে ব্রাঞ্চ ম্যানেজারের কাছে নিয়ে যান। এরপর গ্রাহকের কাছে টাকা তোলার কারণ জানতে চাওয়া হলে গ্রাহক স্পষ্ট উত্তর দিতে পারেননি। এর পর ব্যাঙ্কের কর্মীরা তাঁকে পরিবারের একজন সদস্যের সঙ্গে আসতে বলেন। টাকা দিতে অস্বীকার করেন।
এরপর, তিন দিন ไধরে গ্রাহকের কাছে তথ্য জানতে চাওয়ার পর এবং প্রশ্ন করার পর ব্যাঙ্কের কর্মীদের আরও সন্দেহ হয়। ওই গ্রাহককে প্রধানমন্ত্রীর 'মন কি বাত' সম্পর🌳্কিত একটি প্রতিবেদন দেখানো, যাতে এই 'ডিজিটাল অ্যারেস্ট' সম্পর্কে বলা হয়েছিল এবং ব্যাঙ্ক তাঁকে এটা বলেও আশ্বস্ত করে যে এরকম কিছু হয় না। এর পরে ব্যাঙ্ক ওই প্রবীণ গ্রাহককে ন্যাশনাল সাইবার ক্রাইম হেল্পলাইন (১৯৩০) এর সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেয়। এর থেকেই প্রমাণ হয়ে যায়, এটি সত্যিই ডিজিটাল অ্যারেস্ট ছিল।
আরও পড়ুন: (Robot interaction: সারাক্ষণ কাজ করছিস, একটু ব্রেক নে…১২টি রোবটকে ফু𓂃ঁসলে নিয়ে গেল ছোট ꧃রোবট!)
কী এই ডিজিটাল অ্যারেস্ট
এটি সাইবার জালিয়াতির একটি নতুন পদ্ধতি, এক্ষেত্রে প্রতারকরা ভিকটিমকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেন এবং বিপুল পরিমাণ অর্থ দাবি করেন। এই ক্ষেত্রে প্রতারকরা ভুক্তভোগীদের বাড়িতে থাকার, ব্যাঙ্কের কর্মচারীদের থেকে দূরে থাকার নির্দেশ দেন। একটি ভিডিয়ো বা অডিয়ো কলের মাধ্যমে স্ক্যামারদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেও বলা হয়। এই ধরনের কেলেঙ্কারীতে, স্ক্যামাররা বেশিরভাগ প্রবীণ নাগরিকদে꧑র টার্গেট করেন। বিশেষ করে যেꩲ ব্যক্তিদের প্রযুক্তিগত জ্ঞান কম, তাঁদেরই টার্গেট করা হয়।
আরও পড়ুন: ('তুমি অপ্রয়꧑োজনীয়, মরে যাও🅘'- শিক্ষার্থীকে ভয়ানক কথা বলল Google AI Chatbot)
কীভাবে এই প্রতারণা থেকে নিজেকে রক্ষা করবেন
যদি কোনও ব্যক্তি নিজেকে সরকারি কর্মকর্তা দাবি করে, টাকা চান, তাহলে অবিলম্বে সতর্ক হোন🍨। এই ধরনের কলের উত্তর দেবেন না।
- আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, এটিএম পিন, ওটিপি ইত্যাদি কারও সঙ্গে শেয়ার করবেন না।
- যে কোনও সন্দেহজনক পরিস্থিতিতে ব্যাঙ্ক বা সাইবার হেল্পলাইনে (১৯৩০) যোগাযোগ করুন।
- অবিলম্বে আপনার পরিবারের সদস্যদের এই ধরনের কোনও ঘটনা ঘটলে, সে সম্পর্কে অবহিত করুন।
- যদি কেউ প্রতারণা করার চেষ্টা করে, তাহলে জাতীয় সাইবার ক্রাইম পোর্টালে (www.cybercrime.gov.in) অভিযোগ করুন।