🅘 CAA কার্যকর হওয়ায় কোনও মুসলিম যদি বিপদে পড়েন তাঁর পাশে থাকবেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। মঙ্গলবার তমলুকে এমনই আশ্বাস দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, মুসলমানদের ভুল বুঝিয়ে কাজ হবে না।
✨এদিন শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘CAA কার্যকর হওয়ায় কোনও অশান্তি হবে না। সংখ্যালঘু মুসলিমরা বুঝেছেন এটা কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার আইন নয়। আমি আপনাদের মাধ্যমে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা, স্বীকৃত পদে থেকে বলছি, একজন মুসলিমও যদি কোনও অসুবিধার মধ্যে পড়েন আপনার জন্য রাজ্যের বিরোধী দলনেতা আছে। এই আইন সম্পূর্ণভাবে উদ্বাস্তু হিন্দুদের সম নাগরিকত্বের আইন। কারও কাছ থেকে নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার আইন নয়। ভুল বুঝিয়ে কাজ হবে না। গতকাল রাতে লাগু হয়েছে। ১০ ঘণ্টা হয়ে গেছে। কার নাগরিকত্ব গেছে? এক জনকেও দেখাতে পারলে আমি নাকে খদ দেব’।
আরও পড়ুন: ꦫনতুন প্রস্তাব দিয়ে ফোন ববির, ‘দোলাচলে’ ক্ষুব্ধ অর্জুন
♊এদিন CAA-র বিরোধিতা করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘যারা CAAতে আবেদন করবেন। কোনও নিশ্চয়তা নেই। আপনার সব অধিকার কেড়ে নেবে। প্রথমে নাগরিক ছিলেন। ভোট দিয়েছেন কি দেননি এতদিন? আধার কার্ড ছিল কি ছিল না? জমি আছে কি নেই? দোকান আছে কি নেই? এই আইনটায় আপনি দরখাস্ত করবেন, আপনি অবৈধ হয়ে গেলেন। তার মানে আপনার কোনও অধিকার আর থাকবে না। আপনি বিদেশি হয়ে গেলেন’।
আরও পড়ুন: 💝‘এটা শাসকের আইনের বদলে আইনের শাসন’, সিএএ নিয়ে প্রশংসায় পঞ্চমুখ রাজ্যপাল
🎉তিনি আরও বলেন, ‘বিভিন্ন দেশে একটা নির্দিষ্ট সময় কাটানোর পর গ্রিন কার্ড পায়। সেই আইনটা কেন করলেন না? আগে তো জেলাশাসকরা নাগরিকত্বের কার্ড দিত? সেই অধিকার কেড়ে নেওয়া হল। আর আজ বিজেপির হাতে দিয়ে দেবেন আপনার ভাগ্য? শুধু একটা ভোটের জন্য? ২টো সিটে জেতার জন্য? আপনাদের ভাঁওতা দিচ্ছে, ভাঁওতা। ধাপ্পা দিচ্ছে, ধাপ্পা। মনে রাখবেন সব হারাবেন। এটাও যাবে ওটাও যাবে’।