‘রাস্তায় বেরোলে চামড়া তুলে নেওয়া হবে’- নন্দীগ্রা🧜মে বিজেপি এমনই ভাষায় হুমকি দিচ্ছে বলে দাবি করল তৃণমূল কংগ্রেস। শুধু তাই নয়, রাজ্যের শাসক দলের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে যে শনিবার ভোট দিতে যেতেও বারণ করা হয়েছে। রীতিমতো মাইকে ঘোষণা করে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীꦐগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর দলবল হুমকি দিয়েছে যে শনিবার যাঁরা ভোট দিতে যাবেন, তাঁদের বাড়িছাড়া হতে হবে। তৃণমূলের দেওয়া একটি ভিডিয়োয় (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) মাইকে একজনকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘পুলিশকে মানবে না। চামড়া তুলে দেওয়া হবে যদি রাস্তায় বের হও। আর ২৫ তারিখ ভোট দেওয়ার জন্য যদি সকালে বুথকেন্দ্রে যাও, তাহলে সন্ধ্যায় গৃহছাড়া হবে। আমরা খুনে বিশ্বাস করি না। যেভাবে …….-কে হত্যা করা হয়েছে।’ যদিও সেই অভিযোগ নিয়ে বিজেপির তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
বিজেপি কর্মীকে খুনের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে
সেই অভিযোগের মধ্যেই সোনাচূড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের মনসাবাজারে বিজেপি কর্মী রথিবালা আড়িকে (৫৬🍎) খুনের ঘটনায় উত্তপ্ত রয়েছে নন্দীগ্রাম। আজ সকালেও সেখানকার পরিস্থিতি থমথমে আছে। অভিযোগ উঠেছে যে প্রথমে রথিবালাকে বাঁশ দিয়ে পেটানো হয়। তারপর কুপিয়ে খুন করেন তৃণমূলের লোকজন। মারধরের ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন তাঁর ছেলে সঞ্জয়ও। আ🍃শঙ্কাজনক অবস্থায় কলকাতার হাসপাতালে ভরতি আছেন। আহত হয়েছেন আরও দু'জন বিজেপি কর্মী।
কাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে?
সেই ঘটনায় ইতিমধ্যে ২৫ জনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন রথিবালার মেয়ে। অভিযোগের তালিকায় নন্দীগ্রামের বিধানসভা ভোটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী এজেন্ট শেখ সুফিয়ান, দেবু রায়, ব্লক তৃণমূলের সহ-সভাপতি তথা নন্দীগ্রাম-১ পঞ্চায়েত সম💖িতির বিরোধী দলনেতা শেখ আল্লারౠাজিদের মতো নেতাদেরও নাম আছে। যদিও তৃণমূলের দাবি, বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দলের জেরেই সেই হিংসা ছড়িয়েছে। আর শুভেন্দুর কথা শুনে বিজেপিতে যোগ না দেওয়ায় তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন দেবু।
নন্দীগ্রাের বিজেপি বিধায়কের অভিযোগ
শুভেন্দু দাবি করেছেন যে রাজ্য পুলিশ হাত গুটিয়ে বসে আছে। শুধু তাই নয়, এফআইআর দায়ের হওয়ার পরে নন্দীগ্রাম থানায় গিয়ে আইসির সঙ্গে বৈঠক করেছেন আল্লারাজি। সেইসঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ধমক দিয়ে শুভেন্দু বলেন যে কাশ্মীরকে সোজা করেছেন জওয়ানরা। এব꧙ার পশ্চিমবঙ্গকেও যেন তাঁরা সোজা করে দেন।