চোপড়ার লক্ষ্মীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে সালিশি সভায় তৃণমূল ব🌟িধায়ক ঘনিষ্ঠ তাজমুল ওরফে জেসিবির মহিলাকে রাস্তায় ফেলে মারের ছবি গোটা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। আর তা দেখে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিন্দায় সরব হয়েছেন সাধারণ মানুষ। কিন্তু তাতে কোনও হেলদোল নেই স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক হামিদুর ইসলামের। উলটে রবিবার তিনি বলেন, এরকম বিচার তো মুসলিম রাষ্ট্রে হয়েই থাকে।
আরও পড়ুন - বা💙ংলায় তৃণমূল শরিয়া আদালত চা🦄লাচ্ছে, চোপড়ার ঘটনায় দাবি BJP নেতা অমিত মালব্যের
পড়তে থাকুন - স্কুলের নব🅰ীনবরণে ছাত্রদের জয় শ্রী রাম বলতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ TMC নেতা শিক্ষকের বিরুদ্ধে
রবিবার ভিডিয়ো ভাইরাল হওয়ার পর সাংবাদিকরা বিধায়কের কাছে প্রতিক্রিয়া চাইতে গেলে হামিদুর রহমান বলেন, ‘এটা তো অন্যায় আমরা সবাই বলছি রে ভাই। আরে অন্যায় তো মেয়েটাও করেছে না? নিজের স্বামী, ছেলে - মেয়ে বাদ দিয়ে ও দুশ্চরিত্রবান হয়েছে। এখন আমাদের মুসলিম রাষ্ট্রে সামাজিক আচার – বিচার হয়েই থাকে। বিচারটা যে ভাবে হওয়ার কথা ছিল তা না হয়ে বেশি বেশি হয়ে গেছে। এটা নিয়ে আমরাও ওখানকার গ্রামবাসীদের বক꧋াবকি করছি। আইনিಞ যা ব্যবস্থা হয় সেটা করবে।’
অভিযুক্তের কার্যত পাশে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, ‘মহিলাটা তো কমপ্লেন করেনি। আপনারা বেশি বেশি খোঁচা🍸য় খোঁচায় বাড়াচ্ছেন। কারণ মহিলাটা স্বামী ছাড়া অসামাজিক কඣাজ করছিল। অসামাজিক কাজে গ্রাম্য সালিশি বৈঠক বসেছিল। গ্রাম্য বৈঠকে একটা বিচার আচার করেছে। কিছুটা ভুল হয়েছে আমরাও অস্বীকার করছি না। কিন্তু মেয়েটা তো কোনও অভিযোগ করতে যায়নি। মেয়েটার স্বামী কোনও অভিযোগ করেনি। কোনও জবরদোস্তি কিছু কিছু হয়নি। সমাজকে খারাপ করছিল গ্রাম্য সালিশ বসে তার একটা বিচার করেছে।’
এই নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন রাজ্য বিজಌেপি সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, ‘ওখানকার বিধায়ক যে মন্তব্য করেছেন তাতে এই মানসিকতা পুষ্ট হচ্ছে যে তৃণমূল কংগ্রেসের কিছু অংশ রয়েছে যারা মনে কর🌱ে ভারতবর্ষের মধ্যে একটা আলাদা দেশ আছে। সেখানে তাদের সেই নিয়ম – নীতি চলবে। এটা হতে পারে না। ভারতবর্ষে সংবিধান আছে। সেই সংবিধান অনুসারে দেশ চলবে।’
আরও পড়ুন - উনি 'বুলডোজার মাতাᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚ' হয়ে উঠেছেন, কাকে একথা𝓡 বললেন সুকান্ত মজুমদার?
ভিডিয়ো ভাইরাল হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করে রবিবার সন্ধ্যায় অভিযুক্ত তাজমূলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর পর তাকে ইসলামপুর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশের তরফে তাজমুলের গ্রেফতারি নিশ্চিত করা হয়েছে। সঙ্গে নির্যাতিতাকে নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে তাজমুলের বিরুদ্ধে কী ধারা প্রয়োগ করা হয়েছে সেব্যাপারে মুখে ক🌸ুলুপ এঁটেছেন জেলা পুলিশের কর্তারা।