ᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚ ভোটে হারলে রাজনীতি ছেড়ে দেবেন বলে ঘোষণা করেছিলেন বহরমপুরের ৫ বারের সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরী। মঙ্গলবার লোকসভা ভোটের ফল প্রকাশ হলে দেখা যায় তৃণমূল প্রার্থী ইউসুফ পাঠানের কাছে হার হয়েছে তাঁর। তবে কি এবারে রাজনীতি থেকে অবসর নিলেন বহরমপুরের রবিনহুড? মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এব্যাপারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে কী জানালেন তিনি?
আরও পড়ুন - ꦡলোকসভা ভোটের ফল প্রকাশ হতেই সন্দেশখালি নিয়ে মুখ খুললেন মমতা, বললেন…
পড়তে থাকুন - 𝐆কেউ যদি মনে করে থাকেন এই ফলে দুর্নীতি করার লাইসেন্স পেয়ে গেলেন, ভুল করছেন: শমীক
🐲জীবনের কঠিনতম লোকসভা নির্বাচনে এবার বহরমপুরে অধীরের লড়াই ছিল প্রাক্তন ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠান ও বিজেপি প্রার্থী চিকিৎসক নির্মল সাহার সঙ্গে। ভোটের ফল প্রকাশ হলে দেখা যায় তৃণমূল প্রার্থী ইউসুফ পাঠানের কাছে প্রায় ৮৫ হাজার ভোটে হেরেছেন তিনি। এর পরই বহরমপুরে দলীয় দফতরে সাংবাদিক বৈঠকে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে অধীরবাবু বলেন, ‘এতদিন অপরাজেয় ছিলাম, এখন পরাজিত। পৃথিবীর সব রাজনৈতিক নেতার জীবনেই পরাজয় ঘটে। ইন্দিরা গান্ধীকেও হারতে হয়েছে। মানুষ দয়া করেনি, দোয়া করেনি, আশীর্বাদ করেনি, আমি কী করতে পারি? তাই হেরেছি। সেই হারটাকে মেনে নেওয়া আমার রাজনৈতিক দায়িত্ব। আমি সেই দায়িত্ব পালন করে বলছি, মানুষ যা করেছে, ঠিক করেছে। আমি হেরেছি।’
🅷এর পর সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, তবে কি আপনি রাজনীতি থেকে অবসর নিচ্ছেন? জবাবে অধীরবাবু বলেন, ‘যা করব জানিয়ে দেব’।
♏গত লোকসভা নির্বাচনে বহরমপুরে সবাইকে চমকে দিয়ে জয় ছিনিয়ে এনেছিলেন অধীরবাবু। এর পর লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা হন তিনি। সপ্তদশ লোকসভায় তাঁকে বহু গুরুত্বপূর্ণ বিতর্কে অংশগ্রহণ করতে দেখা গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সরাসরি বিতর্কে জড়াতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে। সেই অধীরের প্রচারে এবার দিল্লি থেকে আসেননি কোনও নেতা। অধীরের তৃণমূলবিরোধী অবস্থানের জন্যই তাঁর থেকে রাহুল গান্ধীসহ দলের সমস্ত নেতা নির্বাচন চলাকালীন দূরত্ব বজায় রেখেছিলেন বলে দাবি প্রদেশ কংগ্রেসের একাংশের। তবে নিজের অবস্থান থেকে বিন্দুমাত্র সরেননি অধীর। উল্টে তৃণমূলবিরোধী অবস্থান আরও শক্ত করেছেন।
আরও পড়ুন - 🍌মুসলিমরা চাকরি, পরিশ্রুত পানীয় জল, হাসপাতাল চান না, তারা চান শুধু তোষণ: শুভেন্দু
🙈লোকসভা নির্বাচনে হারের পর অধীরকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। সেক্ষেত্রে তৃণমূল বিরোধী লড়াই জারি রাখতে অধীরের বিজেপিতে যোগদান করা ছাড়া রাস্তা নেই। যে অধীরের জন্য আগে থেকেই দরজা খুলে রেখেছে বিজেপি।