রাজ্যে লোকসভা ভোটের ফল আশানুরূপ না হলেও দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই থেকে সরবে না বিজেপি। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সাংবাদিক বৈঠক করে একথা বললেন বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। একই সঙ্গে পূর্ব মেদিনীপꦯুরের হারের কথা উল্লেখ করে তৃণমূলকে আক্রমণ করলেন তিনি। মনে করালেন দলবদলুদে🎃র পরিণতির কথা।
আরও পড়ুন - ডায়মন🦹্ড হারবা🐟রে গণনাকেন্দ্রে বিরোধীদের মারধর - হুমকির অভিযোগ, গণনা বয়কট বাম-BJPর
পড়তে থাকুন - বিষ্ণুౠপুরে ধুন্ধুমার, TMC - BJP সংঘর্ষে গণনাকেন্দ্রের মাঠ যেন🀅 রণক্ষেত্র
এদিন শমীকবাবু বলেন, ‘এই ফল নিশ্চিতভাবে আমাদের জন্য আশাপ্রদ নয়। ভারতের সংবাদমাধ্যম, সমস্ত এজেন্সি, স꧒েনাবাহিনী, BSFকে তিনি আক্রমণ করছেন ইনমাক ট্যাক্সকে। এটা কোন রাজনীতি চলেছে পশ্চিমবঙ্গে?༺’
পূর্ব মেদিনীপুরের ২ আসনে তৃণমূলের পরাজয়ের কথা উল্লেখ করে শমীকবাবু বলেন, ‘২০২১ সালে চরম হিংসা ও বিপরীত পরিস্থিতির মধ্যে যে ভোট আমরা ༺পেয়েছিলাম, তার পরেও এই নির্বাচনে 🧸আমাদের ভোটের শতাংশ বেড়েছে। যে পূর্ব মেদিনীপুরকে তৃণমূল কংগ্রেস ধারাবাহিকভাবে টার্গেট করেছিল সেখানে ২টি আসনে তৃণমূল কংগ্রেস পরাজিত।’
দলবদলুদের পরাজিত করার জন্য পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে ‘রাজনীতি সচেতন’ বলে উল্লেখ করেন তিনি। বলেন, ‘আমাদের দল থেকে ৩ জন চলে গিয়েছিলেন। কৃষ্ণ কল্যাণী, বিশ্বজিৎ দাস ও মুকুটমণি অধিকারী। আমরা বারবার বলেছিলাম এদের বিধায়কপদ খারিজ করা হোক। সমস্ত সংসদীয় রীতি নীতি পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভাকে ধূলিস্মাৎ করে বিধানসভার বর্তমান স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন,🐈 এরা সবাই বিজেপিতেই আছেন। বিশ্বজিৎ দাস বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা🐟 তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি হওয়ার পরেও তাঁর বিধায়কপদ খারিজ হয়নি। এরা ৩ জনই পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিলেন। এরা ৩ জন নির্বাচনে লড়াই করেছেন। আর পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি সচেতন মানুষ ৩ জনকেই পরাজিত করেছে।’
এর পরই তৃণমূলকে আক্রমণ করে শমীকবাবু বলেন, ‘জয়ের জন্য মুখ্যমন্ত্র💮ীকে আমার শুভেচ্ছা জানাতে কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু জেতার জন্য তিনি যেভাবে আজও চালাচ্ছেন, মানুষ ঠিক সময় এর প্রতিবাদ জানাবে। রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা শুরু হয়ে গিয়েছে। একজন প্রান্তিক মহিলা রেখা পাত্র তাঁকে তাড়া করে ফেলে দেওয়া হয়েছে। বহু জায়গায় হিন্দু ভোটাররা ভোট দিতে বেরোতে পারেননি।’
আরও পড়ুন - দক্ষিণবঙ্গে ভোটে ভরাডুবি, রাজ্য ব𓆏িজেপিতে শেষ হব🌟ে শুভেন্দু-রাজ?
তৃণমূলকে শমীকের সতর্কবার্তা, ‘কেউ যদি মনে করে থাকেন প্রত্যাশিত ফল না হওয়ায় এখানে বিজেপির দুর্নীত🐭ির বিরুদ্ধে লড়াই, তৃণমূল কংগ্রেসের স্বেচ্ছাচারিতা, দখলদারি, একাধিপত্যের বিরুদ্ধে লড়াই থেমে যাবে তাহলে ভুল করছেন। কেউ যদি মনে করে থাকেন গোটা সমাজটাকে খোলা বাজার বানিয়ে দিয়ে তারা সরকারি চাকরি বিক্রির লাইসেন্স অর্জন করবেন তারা এই ফলের মধ্যে দিয়ে তারা ভুল করছেন। যদি কেউ মনে করে থাকেন সমস্ত দুর্নীতিকে চাপা দেওয়ার জন্য, কারাগারে বন্দি থাকা মহাপুরুষদের ছাড়ানোর জন্য দিল্লিতে নতুন সমীকরণ তৈরি করে পশ্চিমবঙ্গে কোর্টের নির্দেশে দুর্নীতির বিরুদ্ধে যে তদন্ত চলেছে তাহলে ভুল করছেন। যদি কেউ মনে করে থাকেন কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকদের মাথা ফাটিয়ে তাদের পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া করে দেবেন, তারা ভুল করছেন।’