এবার আদিবাসী গৃহবধূকে গণধর্ষণ করার অভিযোগ উঠল। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর ব্যাপক আলোড়ন পড়ে গিয়েছে জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ি এলাকায়। এই নিয়ে জোর চর্চাও শুরু হয় জেলায়। তবে পুলিশ অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্তে নেমে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। ম💙ূল অভিযুক্ত–সহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে ধূপগুড়ি থানায় পুলিশ। আরও এক অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। ধূপগুড়ি ব্লকের এক গ্রাম পঞ্চায়েতে এলাকার এক আদিবাসী গৃহবধূর স্বামী কিছুদিন আগে মারা গিয়েছে। তারপর থেকে ওই বাড়িতে একাই থাকতেন মহিলা। এই একা থাকার সুযোগ নিয়ে কয়েকজন যুবক গণধর্ষণ করে মহিলাকে।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? স্থানীয় সূত্রে খবর, গত বুধবার রাতে এক ব্যক্তি তার বন্ধুদের নিয়ে ওই আদিবাসী গৃহবধূর বাড়িতে আসে। তারপর নানা অছিলায় তাঁর সমস্যা জানতে চায়। সদ্য স্বামী হারা মহিলা তেমন কিছু বলতে চাননি। তখন তাঁকে কুপ্রস্তাব দেওয়া হয়। সেই প্🔴রস্তাব প্রত্যাখ্যান করতেই মহিলাকে বাড়িতে একা থাকার সুবাদে তাঁর মুখ চেপে ধরে সবাই। তারপর তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন করার ভয় দেখান🦹ো হয়। আর ভয় দেখিয়ে বাড়ির পাশে নির্জন জঙ্গলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে মূল অভিযুক্ত–সহ তার চার বন্ধু মিলে আদিবাসী গৃহবধূকে গণধর্ষণ করে।
তারপর ঠিক কী হয়? সারারাত গণধর্ষণ করার পর নির্যাতিতা মহিলাকে বাড়ির সামনে ছেড়ে দেওয়া হয়। তখনও ভোরের আলো ফোটেনি। আর মূল অভিযুক্ত–সহ বন্ধুরা ওই মহিলাকে হুমকি দেয়, যদඣি এই ঘটনা কাউকে জানানো হয় তাহলে তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলা হবে। এমনকী বাড়ি এসে আবার গণধর্ষণ করা হবে বলে হুমকি দেয় অভিযুক্তরা। ওই নির্যাতিতা মহিলা বিষয়ট🔜ি নিয়ে ধূপগুড়ি থানায় এসে মূল অভিযুক্ত–সহ চারজনের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এইঅভিযোগ দায়ের হতেই ধূপগুড়ি থানার পুলিশ তদন্তে নেমে মূল অভিযুক্ত–সহ তিনজনকে গ্রেফতার করে। ধৃতরা নিজেদের দোষ কবুল করেছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
আরও পড়ুন: রেশন দুর্নীতির তদন্তে সক্রিয় ইডি, এবার🃏 চিঠি দিল রাজ্য পুলিশের ডিজির কাছে
ꦺআর কী জানা যাচ্ছে? আজ, শুক্রবার অভিযুক্ত তিনজনকে আদালতে পেশ করা হয়। বাকি একজনের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। জেলা পুলিশ সুপার খান্ডবাহলে উমেশ গনপত সংবাদমাধ্যমে জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারা দায়ের করা হয়েছে। অখিল ভারতীয় আদিবাসী মুক্তি মোর্চার জয় প্রফুল্ল লাকড়া বলেন, ‘একজন আদিবাসী মহিলাকে গণধর্ষণ করা হয়েছে। পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে পুলিশের কাছে।’