Ayush Badoni's double hundred: ঘরোয়া ক্রিকেটে দিল্লির হয়ে খেলা আয়ুষ বাদোনি রঞ্জি ট্রফিতে ব্যাট হাতে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছেন। তিনি শুধু ঝাড়খণ্ডের বিরুদ্ধে দিল্লির হয়ে ডাবল সেঞ্চুরি করেননি, তার দলকে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যাওয়া থেকেও বাঁচিয়েছিলেন। তিনি মাত্র ২১৬ বলে ২০৫ রানের একটি ইনিংস খেলেন, যার মধ্যে ১৬টি চার ও ১০টি ছক্কাও ছিল। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে প্রথমবারের মতো এমন কীর্তি গড়লেন বাদোনি। লখনউ সুপার জায়ান্টস দল সম্প্রতি তাঁকে চার কোটি টাকায় আইপিএল ২০২৫-এর জন্য একজন আনক্যাপড ♑খেলোয়াড় হিসেব😼ে ধরে রেখেছে।
হেরে যাওয়া ম্যাচ বাঁচিয়েছে ১৫০ রানের জুটি
রঞ্জি ট্রফির পঞ্চম রাউন্ডে ১৩ নভেম্বর ঝাড়খণ্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচ শুরু হয়েছিল। অধিনায়ক আয়ুষ বাদোনি তার ঘরের মা🌱টিতে খেলতে নেমে টসে জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেন। প্রথমে ব্যাট করে ঝাড়খণ্ড দল ৩৮২ রান করে। জবাবে দিল্লি দল ১৫৮ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়েছিল। তারপরে পরাজয় দরজায় কড়া নাড়তে শুরু করে। এরপর বাদোনি অধিনায়কত্বের ইনিংস খেলে ষষ্ঠ উইকেটে সুমিত মাথুরের সঙ্গে ৮০ রানের জুটি গড়েন। তৃতীয় দিনের খেলা শেষে, তিনি মাত্র ১১৬ বলে ১৪৪ রান করেছিলেন। এর ফলে দিল্লি ২৩৮ রান করতে সক্ষম হয়েছিল।
খেলার শেষ দিনে অর্থাৎ ১৬ নভেম্বর শনিবার, বাদোনির বিস্ফোরক ইনিংস অব্যাহত থাকে এবং তাদের জুটি ১৫০ রানে পৌঁছে যায়। যদিও এর পরেই আউট হয়ে যান সুমিত। অন্যদিকে বাদোনি অপর প্রান্তে থেকে যান এবং ২০৫ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন। এভাবে পরাজয়ের দিকে এগিয়ে যাওয়া ম্যাচটিকে ড্রয়ে রূপান্তরিত করেন বাদোনি। বাদোনি এই ইনিংসের কৃতিত্ব দেন জাস্টিন ল্যাঙ্গারকে, যিনি লখনউ সুপার ��জায়ান্টসের কোচ ছিলেন। তিনি বলেছিলেন যে তার পরামর্শের সাহায্যে তিনি তার আগ্রাসনকে একটি দিকনির্দেশ দিতে সফল হযꩲ়েছেন।
টুর্নামেন্ট থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পেল দিল্লি
আয়ুষ বাদোনির এই ইনিংসের সুবাদে দিল্লি দল ৭ উইকেট হারিয়ে ৩৮৮ রান তুলতে সক্ষম হয় এবং প্রথম ইনিং⛦সের লিড নেয়। শেষ দিনে ঝাড়খণ্ডের স্কোরে একরকম এগিয়ে যায় দিল্লির দল। ফলাফল হল রঞ্জির নিয়ম অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ৩ পয়েন্ট পেল দিল্লি। যে কারণে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা পেল দিল্লি। কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার আশা এখনও বাঁচিয়ে রেখেছে তার। তবে তার জন্য তাদের পরের দুই ম্যাচে জিততে হবে।
এই ম্যাচটি আয়ুষ বাদোনির জন্য বিশেষ ছিল কারণ তিনি প্রথমবার꧑ দিল্লি দলের অধিনায়ক ছিলেন। ম্যাচের পর বাদোনি বলেন, ‘আমি আমার অধিনায়কত্বে একটি জয় নিবন্ধন করতে চেয়েছিলাম। ম্যাচটি ড্র হয়েছে তবে আমি আমার দলের পারফরম্যান্সে খুশি।’ ভারত এ সফর প্রসঙ্গে বাদোনি বলেন, ‘আমরা টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছিলাম, কিন্তু সেমিফাইনালে হেরেছিলাম। এই পরাজয় থেকে আমরা অনেক কিছু শিখেছি।’
ল্যাঙ্গার থেকে অনেক কিছু শিখেছি
আয়ুষ বাদোনি গত দুই মরশুম ধরে আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি লখনউ সুপার জায়ান্টস (এলএসজি) এর অংশ ছিলেন। চলতি মরশুমে মেগা নিলামের আগে তাকে ধরে রেখেছে ফ্র্যাঞ্চাইজি। জাস্টিন ল্যাঙ্গারকে নিয়ে আয়ুষ বাদোনি বলেন, ‘জাস্টিন ল্যাঙ্গার আগ্রাসন সম্পর্কে অনেক কিছু বলেছেন। কীভাবে অগ্🥂রগতি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে এবং কখন প্রদর্শন করতে হবে। আইটি অনেক সাহায্য করেছে। তিনি আমার অনেক কৌশলকে পরিবর্তন করেছেন।’ এটা বাদোনির মধ্যে পজিটিভ চিন্তাকে জাগ্রত করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমি আগামী তিন বছর এলএসজির হয়ে খেলতে চাই। জাস্টিন ল্যাঙ্গারের কাছ থেকে আমার অনেক কিছু শেখার আছে। তিনি সবসময় আমাকে আমার স্বাভাবিক খেলা খেলতে অনুপ্রাণিত করেছেন।’
‘লাল ও সাদা বলে নিজেকে প্রমাণ করতে চাই’
বাদোনি বলল, ‘আমি সাদা এবং লাল বলের ক্রিকেটে নিজেকে প্রমাণ করতে চাই এবং এর জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত। আমি আমার বোলিং নিয়েও কাজ করেছি। আগে আমি শুধু একজন ব্যাটসম্যান ছিলাম, কিন্তু কোচ শরণদীপ আমার বোলিং ক্ষমতাকে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন এবং আমাকে উন্নতি করতে অ✤নুপ্রাণিত করেছিলেন।’
বাদোনি সেরা পারফরম্যান্সের জন্য প্রস্তুত
দিল্লি দলের খেলোয়াড়দের ফর্ম নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বাদোনি বলেন, ‘দলের কোনও ব্যাটসম্যান যদি এক ম্যাচে সেঞ্চুরি করেন, তাহলে তিনি পরের ম্যাচে তার ফর্ম ধরে রাখতে পারবেন না। আমি অধিনায়ক হিসেবে এটি নিয়ে কাজ করছি। শীঘ্রই দিল্লি দলের পারফরম্যান্সের উন্নতি হবে। আমি নিজেকে চার নম্বরে উন্নীত করেছি এবং একটি ডাবল সেঞ্চুরিও করেছি।’ বাদোনির ইনিংসটি কেবল তার নেতৃত্বের ক্ষমতাই প্রমাণ করেনি বরং এটিও দেখায় যে তিনি ক্রিকেটের সমস্ত ফর্ম্যাটে 𝄹দক্ষতা অর্জনের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত।