বিগত কয়েক বছরে বিশ্বের বড় বড় গণতন্ত্রগুলিতে ক্ষমতাসীন সরকারের পতন ঘটেছে। তবে ভারতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকার টিকে থেকেছে। ২০২৪ সালে ব্রিটেন, আমেরিকার মতো দেশে নির্বাচন হয়েছে। সেখানে সরকার পালটেছে। ভারতেও এবছরই নির্বাচন হয়েছে। এই দেশে ক্ষমতাসীন বিজেপির শক্তিক্ষয় হলেও তারা সরকারে টিকে আছে। আর এই নিয়েই বড় মন্তব্য করলেন ব্রিটেনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস। তাঁর কথায়, যেখানে বিশ্বের তাবড় গণতান্ত্রিক দেশগুলির সরকার পালটে যাচ্ছে, সেখানে মোদীর এই জয়ে প্রমাণ হচ্ছে যে ভারতীয়রা মনে করেন দেশ সঠিক পথে এগোচ্ছে। (আরও পড়ুন: ICC 🐎CT 2025 নিয়ে প্রশ্ন পাღক সাংবাদিকের, ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন আধিকারিক বললেন…)
আরও পড়ুন: চো𒈔খের পলকে খতম হবে শত্রু, হাইপরসনিক মিসাইলের সফল টেস্টে নয়ꦦা পালক ভারতের মুকুটে!
গতকাল হিন্দুস্তান টাইমস লিডারশিপ সামিটে লিজ ট্রাস বলেন, 'আমি মনে করি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জন্যে এটা এক বড় কৃতিত্ব। বর্তমান পরিস্থিতিতে যে তিনি পুননির্বাচিত হয়েছেন, তা বড় বিষয়। বিশ্বের তাবড় গণতান্ত্রিক দেশগুলিত সরকার বদলেছে। অস্ট্রেলিয়ায়, ব্রিটেনে সরকার বদলেছে। কানাডায় ট্রুডোও হারবেন। আমেরিকাতেও ডেমোক্র্যাটরা ক্ষমতাচ্যুত হয়েছে। তাই মোদীর জন্যে সরকারে বজায় এটা বিশাল বড় কৃতিত্ব। আর এটা প্রমাণ করে, যে সব অর্থনৈতিক সংস্কার নেওয়া হচ্ছে তা দেখে মানুষ মনে করছেন যে ভারত সঠিক পথে এগোচ্ছে।' (আরও পড়ুন: হাওড়া ব্রিজে সেলফি ൲তুলতে গিয়ে বাধা পেয়েছেন? জানেন কেন ওখানে ছবি তোলা নিষিদ্ধ?)
আরও পড়ুন: এবার সরকারি ♐কর্মীদের ন্যূনত বেতন বেড়ে হবে ৫১,৪৫১? বড় দাবি খোদ 🍃JCM সচিবের
এদিকে গতকাল ভারতের রাজনৈতিক অস্থিরতা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও মুখ খোলেন একই মঞ্চে। হিন্দুস্তান টাইমস সমিটে মোদী বলেন, 'এক সময়ে ভারতে ১০ বছরে ৫টি নির্বাচন হয়েছিল। সবাই ভেবেছিল, ভারতের রাজনীতি এমনই চলবে। বিশ্বেও সব জায়গায় সরকার পালটে যায় প্রতি নির্বাচনে। আর আমাদের সরকারকে টানা তৃতীয়বারের জন্যে ক্ষমতায় এনেছে ভারতীয় জনগণ। বলা হত - ভালো অর্থনীতি হল বাজে রাজনীতি। এর জেরে সরকার হাতের ওপর হাত রেখে বসে থ🌠াকত। আগে নির্বাচন জেতার জন্যেই রাজনীতি করত দলগুলি। আর ভোটে জিততে দলগুলি ভোট ব্যাঙ্ক তৈরি করে নিত। এবং তাদের তোষণের জন্যে নীতি তৈরি করত। আগে নির্বাচন জেতার জন্যেই রাজনীতি করত দলগুলি। এই ধরনের রাজনীতির জেরে দেশে অসাম্য বেড়েছে। বোর্ড লেগে যেত কিন্তু উন্নয়ন দেখা যেত না। মানুষ সরকারের ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলেছিল। আর আমাদের সরকারের উদ্দেশ্য ভোটব্যাঙ্ক রাজনীতির থেকে অনেক দূরে। আমরা মানুষের জন্যে, মানুষের মাধ্যমে এবং মানুষের দ্বারা উন্নয়নে বিশ্বাসী।'