অনেকেই চাকরি পাওয়াℱর জন্য কোচিং সেন্টারে পড়াশোনা করেন। কিন্তু সকলে কি চাকরি পান? সেটা কোনওভাবেই নয়। এদিকে মোটা টাকা দিয়ে ভর্তি ꦜহওয়ার পরে অনেকে আবার জানতে পারেন যে শর্তে তাদের ভর্তি করা হয়েছিল তাদের সঙ্গে আখেরে প্রতারণা করা হয়েছিল। কিন্তু কোথায় অভিযোগ জানাবেন তারা?
এটা নিয়ে এতদিন কিছুটা ধন্দ ছিল। তবে এবার সেই সংশয়ের কিছুটা অবসান হতে চলেছে। এবার থেকে কেন্দ্রীয় কনজিউমার প্রটেকশন অথরিটি বা সিসিপিএ জানিয়ে দিয়েছে তাদের কাছে এনিয়ে অভিযোগ জানানো যাবে। অর্থাৎ চাকরির কোচিং সেন্টারে পড়তে গিয়ে সেই সংস্থার কাছ থেকে আপনি যদি প্রতারণার শিকার হন তবে আপনি যেতে পারবেন কেন্দ্রীয় কনজিউমার প্রটেকশন অথরিটির কাছে।
ইতিমধ্য়ে তাদের তরফে কোচিং সেন্টারগুলির কাছে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে কোনও ছাত্রছাত্রী সেই কোচিং সেন্টারগুলিতে ভর্তি হতে চাইলে তাদের কাছে সিসিপিএ-র ইমেল আইডি, তাদের ফোন নম্বর জানিয়ে রাখতে হবে। অর্থাৎ কোথাও যদি তাদের প্রতারণার মধ্যে পড়তে হয় তব🐓ে তারা সিসিপিএর কাছে অভিযꦆোগ জানাতে পারবেন।
এদিকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল মূলত পরিষেবা হিসাবে গণ্য় ꦺকরা হচ্ছে এই সমস্ত কোচিং সেন্টা🐻রগুলিকে। আর সেখানে পরিষেবা না পেলেই তারা প্রয়োজনে সিসিপিএর কাছে যেতে পারেন।
এদিকে এই কোচিং সেন্টারগুলির জন্য নানা ধরনের নির্দে𝄹শিকাও জারি করা হয়েছে। নেট স্লেল, নিট সহ নানা পরীক্ষা দেওয়ার জন্য় বহু ছাত্রছাত্রী এই সমস্ত কোচিং সেন্টারগুলিতে ভর্তি হন। কিন্তু সেখানে বহু ক্ষেত্রে প্রতারিত হন তারা। সেকারণে এবার নয়া ব্যবস্থা।
এদিকে সিসিপিএর পক্ষ থেকে কোচিং সেন্টারগুলিকে বলা হয়েছে, তারা এমন কোনও বিজ্ঞাপন দেবে না যেগুলি দেখে বিভ্রান্তির মধ্য়ে পড়ে যায় সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা। সেই 💮কোচিং সেন্🎉টারের তরফে টপার হিসাবে যাদের ছবি ব্যবহার করা হবে তাদের কাছ থেকে লিখিত সম্মতি নিতে হবে। কারণ কেবলমাত্র বিজ্ঞাপনের জন্য তাদের অসম্মতি নিয়ে একাধিক ক্ষেত্রে ছবি ব্যবহারের নজির রয়েছে।
এদিকে দেশজুড়ে প্রচুর কোচিং সেন্টার রয়েছে। সিংহভাগ কোচিং সেন্টারই দাবি করে তাদের কোচিংই সেরা। এমনকী তাদের কোচিংয়ে পড়লে চাকরি পাকা এমন দাবিও করা হয়। তবে এবার কেন্দ্রীয় কনজিউমার প্রটেকশন অথরিটি জানিয়েছে এই ধরনের দাবি করা যাবে না। সেই সঙ্গে কনজিউমার ফ🅺োরামের নম্বর দিতে হবে পড়ুয়াদের। প্রতারণার শিকার হলেই তারা যাতে কনজিউমার ফোরামে আবেদন করতে পারেন। তবে এভাবে পড়ুয়াদের কনজিউমার হিসাবে গণ্য করা কতটা যুক্তিযুক্ত তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে।