দিল্লি প্রিমিয়র লিগে বিরল নজির গড়েছেন আয়ুষ বাদোনি। নর্থ দিল্লি স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে ১৯টি ছক্কা মেরে ক্রিস গেইলের রেকর্ড পর্যন্ত ভেঙে দিয়েছেন ভারতীয় এই ব্যাটার। দঃ দিল্লি সুপারস্টার্জ দলের হয়ে এই অনবদ্য পারফরমেন্স করেন বাদোনি। ৫৫ বলে করেন মারকাটারি ১৬৫ রান, অর্থাৎ তাঁর স্ট্রাইক রেট ছিল ৩০০। এমনিতে এবারের আইপিএলটা আয়ুষের খুব একটা ভালো যায়নি। কারণ তাঁর দল লখনউ সুপার জায়ান্টসে নিজেকে সেভাবে মেলে ধরতে পারেননি। আইপিএলে বেশিদূর এবারে এগোতে পারেনি এলএসজিও। তাঁরা প্লে অফে উঠতে ওপারেননি। যদিও আইপিএলের নিলামের মাস খানেক আগেই ফর্মে ফিরলেন আয়ুষ। ঘরোয়া ক্রিকেটের মরশুমের শুরুতেই ধুন্ধুমার ইনিংস খেলে সকলের নজরে চলে এলেন এই মিডল অর্ডার ব্যাটার।
আরও🌳 পড়ুন-পিছিয়ে ৩৫৪৪ রানে! সচিনের রেকর্ড ভাঙতে পারবেন? ECB-র প্রশ্নের মুখে কি উত্তর দিলেন রুট?
এস্তোনিয়ার সাহিল চৌহান এবং ক্রিস গেইলের এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ছয় মারার রেকর্ড ভেঙে দেন🥃 আয়ুষ। এর আগে গেইল এবং সাহিলের ছিল ১৮টি করে ছয় মারার নজির ছিল এক ইনিংসে। সেই নজির টপকেই ১৯টি ছয় এক ইনিংসে মারলেন আয়ুষ বাদোনি। যদিও বাদোনি বলছেন, রেকর্ডের কথা তিনি খেলার সময় মাথাতেই আনেননি। বরং বল ভালো করে দেখে বড় শট খেলতে চাইছিলেন, তাতেই সাফল্য ধরা দেয় তাঁর কাছে।
দলের ১১২ রানে জয়ের পর নিজের ইনিংস নিয়ে মুখ খুলেছেন আয়ুষ বাদোনি। তাঁর কথায়, ‘আমি শুধুই বল ভালো করে টাইমিংয়ে হিট করার দিকে মনোযোগ দিয়েছিলাম। আমি কখনও ভাবতেও পারিনি এক ইনিংসে ১৯টা ছয় মারতে পারব। আমি বল জোরে মারার দিকে নজর দিতে চাইনি, বরং টাইমিংয়ে নজর দিয়েছিলাম, আর তাতেই সাফল্য এসেছে । আমি আর প্রিয়াংশ ভালো খেলেছি, আমাদের ব্যাটিং অনেক চাপ কমিয়ে দিয়েছে দলের ওপর থেকে। তবে দলের বাকিরাও ম্যাচের পর বলেছে, তাঁরাও সুযোগের জন্য অপেক্ষায় রয়েছে’। প্রসঙ্গ প্রিয়াংশ আর্যর সঙ্গে পার্ট🌄নারশিপেꦫ ২৮৬ রান তোলেন আয়ুষ বাদোনি ডিপিএলের ম্যাচে নর্থ দিল্লি স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে।
ভিডিয়ো- লোপ্পা ক্যাচ মিস শাকিলের!অবাক অধিনায়ক মাস🦋ুদ! মুখ𒉰ে হাত দিয়ে হেসে ফেললেন আম্পায়ারও…
দিল্লি প্রিমিয়র লিগে আয়ুষের ব্যাটিংয়ে পর অনেক আইপ🌟িএল দলই আগামী নিলামে তাঁকে দলে নিতে চেষ্টা করতে পারে। যদিও দঃ দিল্লি দলের অধিনায়ক সেসব নিয়ে ভাবছেন না। এলএসজির হয়ে খেলা এই ক্রিকেটার বলছেন, ‘আমি এখনই আইপিএলের নিলাম নিয়ে ভাবছি না, আমার ফোকাস এখন শুধুই দিল্লি প্রিমিয়র লিগে আমার দলকে চ্যাম্পিয়ন করা। আইপিএলের হয়ে খেলা আমার কাজ অনেক সহজ করে দিয়েছে। কারণ সেখানে বিশ্বমানের বোলারদের বিরুদ্ধে খেলার পর এখানে এসে রান করা তুলনায় সহজ কাজ’।