ঘুম থেকে উঠে সবে ঘরের বাইরে পা রেখেছেন কয়েকজন গ্রামবাসী। বিশেষ করে যাঁদের কাজ থাকে সকালেই। কিন্তু ঘরের বাইরে পা রেখে চোখ তুলে তাকাতেই আত্মারাম খাঁচা হয়ে গেল তাঁদ⭕ের। কারণ বাড়ির বাইরে এত পায়ের ছাপ কাদের? এসব তো মানুষের পায়ের ছাপ নয়। ততক্ষণে নজরে এসে গিয়েছে বাড়ির দুয়ারে পড়ে থাকা শস্য। তাহলে কি গ্রামে হানা দিল গজরাজের দল? এই প্রশ্ন মনে আসতেই আতঙ্ক দানা বাঁধতে শুরু করে। তখন কয়েকজন গ্রামবাসী নদীর ধারে ছুটে যান। আর তখনই সত্যি হয় আশঙ্কা। গ্রামে একেবারে সদলবলে ঢুকে পড়েছে গজরাজের দল। গ্রামের মধ্যে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ১৫টি হাতির দল। আতঙ্কে ধূপগুড়ির কুর্শামারি গ্রামের বাসিন্দারা বাড়ির বাইরে বের হচ্ছেন না।
আজ, শনিবার সকালে ঘুম থেকে উঠে গ্রামবাসীরা এই ঘটনাই দেখতে পেলেন। ওই গ্রামের পাশে জলঢাকা নদীর চড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে ১৫টি হাত🍷ির দল। হাতিগুলি লোকালয়ে চলে আসায় আতঙ্কের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে খবর দেওয়া হয় বন দফতরে। বন দফতরের কর্মীরা এসে পরিস্থিতি দেখে চিন্তায় পড়ে যান। এতগুলি হাতি একসঙ্গে চলে এসেছে। তাদেরকে জঙ্গলে পাঠানো মোটেই সহজ কাজ নয়। এখন কলকাতার থেকে বেশি শীতের আমেজ পড়েছে জলপাইগুড়িতে। আর গ্রামের অন্দরে সকালে সেই ঠাণ্ডা বেশ টের পাওয়া যাচ্ছে। এই ঠাণ্ডায় খাবারের খোঁজে এসেছে গজরাজের দল।
আরও পড়ুন: মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনা মালদায়, একসঙ্গে তিন যুবকের মৃত্যু পথেই, বাড়ি ফেরা হল না
এবার এই গজরাজের দলের আনাগোনা গ্রামে বাড়বে বলে মনে করছেন গ্রামবাসীরা। কারণ শীত যত বাড়বে তত খিদে বাড়বে। সেই খিদে মেটাতে জঙ্গল থেকে লোকালয়ে চলে আসবে গজরাজরা। দল বেঁধে তারা যাতায়াত করে। তাতে ফসলের ক্ষতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। গতকাল শুক্রবার বেশি রাতে ধূপগুড়ির কুর্শামারি গ্রামে একটি হাতির দলকে দেখতে পাওয়া যায়। রাতে গ্রামের প্রচুর গাছপাল🐎ার ক্ষতি হয়েছে। এমনকী কলাবাগান খেয়ে ফেলে। আর আজ সকালেও হাতির দল গধেয়ারকুঠি গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বগরিবাড়ি এলাকায় জলঢাকা নদীর চরে প্রায় ৭০ বিঘা আলুর ক্ষেত নষ্ট করেছে বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের।