ꦦ সুকান্ত মজুমদারের গাড়ির বনেটের ওপর উঠে শিরোনামে এসেছিলেন। তখন ছিলেন বিজেপিতে। লাগাতার চাপের মুখে লোকসভা ভোটের মুখে যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলে। তবে তাতেও শেষরক্ষা হল কই? তৃণমূল নেতার হাতেই আক্রান্ত হলেন বাদুড়িয়ার তৃণমূল নেত্রী। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন তাঁর নিরাপত্তারক্ষীরাও। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা তারিক মণ্ডল অবশ্য যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
ꩲতৃণমূলের বসিরহাটের নেত্রীর অভিযোগ সোমবার রাতে দলীয় কাজ সেরে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। তখন বাদুড়িয়ার আটঘরা এলাকায় তাঁর গাড়ির সামনে একটি বাচ্চা চলে আসে। চালক জোরে ব্রেক কষলে বাচ্চাটি রক্ষা পায়। এর পর তিনি গাড়ির জানলার কাচ নামিয়ে বাচ্চার বাবাকে বলেন, এভাবে কেউ বাচ্চাকে রাস্তায় ছেড়ে দেয়। এর পরই কথায় কথায় বচসা বেঁধে যায় ২ পক্ষের মধ্যে। অভিযোগ যশাইকাঠি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তারিক মণ্ডলের নেতৃত্বে তৃণমূলের অন্য গোষ্ঠী কর্মীরা তাঁকে মারধর করেন। ভাঙচুর করা হয় গাড়ি। এমনকী নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে বাঁচাতে এলে তাঁদেরও মারধর করা হয়। তাঁর দাবি, এই ঘটনা পূর্ব পরিকল্পিত। তাঁর দাবি, তৃণমূলেরই অপর গোষ্ঠীর লোকেরা তাঁর ওপরে হামলা চালিয়েছে। তাঁকে চড় মারা হয়েছে তাঁকে শ্লীলতাহানিও করা হয়েছে।
♉অভিযোগ অস্বীকার করে তারিক মণ্ডল বলেন, ‘আমি গোলমাল মেটাতে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। সেখানে পুলিশ ছিল। যা ঘটেছে পুলিশের সামনে ঘটেছে।’
🅺তবে এই প্রথম নয়, এর আগে বিজেপি থাকাকালীন বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে মারধর ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেছিলেন এই নেত্রী। গত বছর ১৪ ফেব্রুয়ারি সন্দেশখালি যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন সুকান্ত মজুমদার। তখন টাকিতে তাঁকে আটকায় পুলিশ। তখন পুলিশের সঙ্গে ধ্বস্তাধ্বস্তি বেঁধে যায় সুকান্তবাবুর। তখন নিজের গাড়ির বনেটে উঠে পড়েন তিনি। তখন সুকান্তবাবুর সঙ্গে তাঁর গাড়ির বনেটে উঠে পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়ান এই নেত্রীও। পরে হাসনাবাদ থানার পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। এই ঘটনার ৩ মাসের মধ্যে লোকসভা ভোটের আগে তৃণমূলে যোগদান করেন তিনি।