জ্বর এসেছে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডার। বঙ্গ সফরে এসেছেন জেপি নড্ডা। কথা ছিল রামনগরের মাঠে সভা করে তিনি স্থানীয় পান চাষি ও মৎস্যজীবীদের সঙ্গে কিছুটা কথাবার্তা বলবেন। সেই মতো তাঁরা চলেও এসেছিলেন। কিন্তু তাঁদের সকলের সঙ্গে কথা বলেননি জেপি নড্ডা। রামনগরের দুটি ব্লকের ১৬জন মৎস্যজীবী ও ১৬জন পান চাষিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত তিনি একজনের সঙ্গে কথা বলেই আর কারোর সঙ্গে কথা বলেননি। কার্যত কর্মসূচি কাটছাঁট করেই তিনি ফিরে যান। শরীরে জ্বর থাকার জেরেই তিনি কর্মসূচি কিছুটা সংক্ষিপ্ত করেই তিনি ফিরে যান। তবে পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুসারে তিনি সভাতে অংশ নেন। কিন্তু তারপর জনসংযোগ কর্মসূচিতে তিনি পুরোটাতে থাকতে পারেননি। দলের একাংশে মতে, সম্ভবত, ঋতূ পরিবর্তন, ঠান্ডা গরমের জেরে জ্বর এসেছে তাঁর।এদিকে দিঘায় হেলিকপ্টার থেকে তিনি নেমেই তিনি রামনগরের সভাতে আসেন। কিন্তু সেখানে আসার পরেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানিয়ে দেন, জ্বর এসেছে সর্বভারতীয় সভাপতির। সুকান্ত বলেন, গাড়ি থেকে নামার সময় নড্ডাজির ১০৩ জ্বর রয়েছে। তবুও তিনি দলীয় কর্মসূচিতে এসেছেন।এদিকে সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে দলকে আরও শক্তপোক্ত করতে দফায় দফায় বঙ্গে আসছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে সভা করছেন জেপি নড্ডাও। মেদিনীপুরে সংগঠনকে আরও মজবুত করার দিকেও নজর দিয়েছেন তিনি। এমনকী বাংলায় বক্তব্য রেখেও তিনি তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়াতে শুরু করেছেন। তবে এদিন বক্তব্য়ের মাঝপথেই দেখা যায় তিনি কাশছেন। তখনই বোঝা যায় কিছুটা শারীরিক সমস্যা রয়েছে জেপি নাড্ডার।তবে এদিন রামনগরের সভাতে ভিড় সেভাবে ছিল না। তার মধ্য়েই কিছুটা সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন জেপি নড্ডা। এদিকে সভায় ভিড় না হওয়া নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি তৃণমূল নেতৃত্ব।এরপর তিনি সভার কাজ শেষ করে তিনি একজন মৎস্যজীবীর সঙ্গে দেখা করেন। রামনগর ১ ব্লকের মির্জাপুর গ্রামের বাসিন্দা ওই মৎস্যজীবী এদিন মাছ ধরার ক্ষেত্রে তাঁর সমস্যার কথা তুলে ধরেন। তিনি লিখিতভাবেও তাঁর সমস্যার কথা জেপি নাড্ডাকে জানান। জেপি নাড্ডা অত্য়ন্ত সংক্ষিপ্তভাবে তাঁর সঙ্গে কথা বলেন। তবে তারপরেই তিনি চলে যান। মূলত জ্বরে আক্রান্ত থাকার জেরেই তিনি সভার কাজকে আর দীর্ঘায়িত না করে ফিরে যান। তবে জ্বর গায়েও তিনি যে সভা করেছেন সেটাই মন ছুঁয়েছে একাধিক বিজেপি নেতার।